সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীরে চুল কম হয়। শরীরে গঠন ও তিল বা আঁচিল দিয়ে বোঝা যায় ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্র। জ্যোতিষশাস্ত্রের সমুদ্রবিদ্যায় এর বিশদ ব্যাখ্যা রয়েছে। শরীরে কিছু অংশে চুল থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। যেমন- পুরুষের ছাতিতে লোম থাকা সৌভাগ্যের লক্ষণ। তেমন নারীদেহেও কয়েকটি অংশে লোম শুভ লক্ষণ।
মহিলাদের শরীরে লোম থাকা শুভ। যদিও অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পেতে প্রতি মাসেই ওয়্যাক্সিং করান মহিলারা। কিন্তু লোম থাকা খুবই সৌভাগ্যের লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
- মহিলাদের হাতে বেশি লোম থাকা ভাল বলে মনে করা হয়। এই ধরনের মহিলারা খুবই ভাগ্যবান হন। মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করেন। তাঁদের কাছে অর্থের অভাব হয় না।
- শুধু তাই নয় কিছু মহিলার ছাতিতেও লোম থাকে। এটাও শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই ধরনের মহিলারা নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন।
- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে কানে চুল থাকাও শুভ। এই ধরনের মহিলার প্রচুর অর্থ থাকে। বিলাসী জীবনযাপন করেন। খুব অল্প পরিশ্রমে সব কিছু পান। এছাড়া খুব মেধাবীও হন। তাঁদের উপর সর্বদা ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা থাকে।
এছাড়া অন্যান্য শুভ লক্ষণ-
১। পায়ে তিল- সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, কোনও মহিলার পায়ের তলায় ত্রিভুজ চিহ্ন থাকলে বুদ্ধিমতী হন। সবসময় অন্যদের সাহায্য করেন তাঁরা।
২। নাভির কাছে তিল- নাভির কাছাকাছি তিল সুখ এবং সমৃদ্ধির লক্ষণ।
৩। পায়ের আঙুল- মহিলার বুড়ো আঙুল চওড়া, গোলাকার এবং লাল হলে ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়।
৪। নাকে তিল বা আঁচিল থাকলে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষণ।
৫। চোখ- হরিণের মতো সুন্দর চোখের মহিলারাও খুব ভাগ্যবতী। ভালবাসা এবং সুখ নিয়ে আসেন সংসারে। চোখের কোণায় লাল থাকলেও সৌভগ্যের লক্ষণ।
৬। পায়ের পাতাল তিল- পায়ের পাতায় পদ্ম, শঙ্খ বা চক্র আকৃতির তিল থাকলে খুবই ভাগ্যবতী হন ওই মহিলা।
৭। জিভের ধরন- যে মহিলাদের জিভ নরম এবং গোলাপি হয় তাঁরা ভাগ্যবতী হন। এই নারীরা ঘরে থাকলে সুখ-শান্তি থাকে।
আরও পড়ুন- মোবাইল স্ক্রিনে এই ওয়ালপেপার রাখলেই ভাগ্যোদয়, অর্থপ্রাপ্তি