প্রতিপদ বা প্রথমা
প্রতিপদে জন্মানো ব্যক্তি প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। দারিদ্র্য তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে। এর মোকাবিলা করতে তাঁরা অনৈতিক, আইন বিরুদ্ধ এবং পাপ কাজ করে থাকেন। তাঁরা অসৎসঙ্গেই থাকেন। পরিবারের বদনামের কারণ হন।
দ্বিতীয়া তিথি
এই তিথিতে জন্মানো পুরুষ বা স্ত্রীরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এঁদের ভাষা খারাপ হয়। লোকের ক্ষতি চান।অন্যের জন্য মনে খারাপ ভাবনা রাখেন এঁরা। অন্যের ভাল দেখতে পারেন না। প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত হন।
তৃতীয়া তিথি
এই তিথিতে যে ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের কোনও উন্নতি হয় না। যা আয় করেন, সে সবই ব্যয় করে দেন। এই তিথির জাতকরা ঈর্ষাপরায়ণ, দরিদ্রও হন। এঁরা অলস এবং এঁদের মধ্যে বুদ্ধি থাকে না। এঁরা প্রায়ই অলস হন।
চতুর্থী তিথি
এই রাশির জাতকরা একাধারে ভোগবাদী, বিলাসী হন। আবার অন্য়দিকে উদার মনোভাবাপন্ন হন। বন্ধুপ্রীতি থাকে। ধনবান হন, এঁদের কাছে অর্থ থাকলেও তার পূর্ণ উপভোগ করতে পারেন না। এই তিথির জাতকরা পরাক্রমী হন। এই জাতকদের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হয় না।
পঞ্চমী তিথি
এই তিথিতে জন্মানো ব্যক্তি ধনী হন। শিল্পী হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী হন। শারীরিক সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ থাকে। এই তিথিতে যে ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন, তাঁরা মা-বাবার সেবা করেন। আর্থিক সমস্যা আসে না।
ষষ্ঠী তিথি
যে জাতকের জন্ম ষষ্ঠী তিথিতে হয়ে থাকে, তাঁরা ভ্রমণপিপাসু হন। নানান দেশ ও রাজ্যের যাত্রা করেন এই জাতকরা। এই জাতকদের স্বভাব অবশ্য খুব একটা ভাল হয় না। নিন্দে করা তাঁদের স্বভাব। এই স্বভাবের কারণেই এঁদের কোনও বন্ধুত্ব হন না। এই জাতকদের বন্ধু সংখ্যা কম।
সপ্তমী তিথি
এই তিথির জাতকরা দেখতে সুন্দর হন। এই তিথিতে জন্মগ্রহণকারী জাতক ধন সম্পত্তিতে প্রভাবশালী হন।সমাজে নাম থাকে। এই তিথিতে জন্মগ্রহণকারী জাতকদের সন্তানরাও, যে কোনও ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করে। মিষ্টি ব্যবহারের কারণে সকলের মধ্যে জনপ্রিয় হন। এদের কাছে কঠিন কাজ বলে কিছু নেই।
অষ্টমী তিথি
এঁরা দাতা হন।, সত্যি কথা বলেন, অনেক গুণের অধিকারী হন। পরাক্রম থাকে। অষ্টমী তিথির জাতকদের পরস্ত্রী বা পরপুরুষের দিকে নজর থাকে। শান্ত স্বভাবের হন। তবে একবার রেগে গেলে কারও কথা শুনতে চান না।
নবমী তিথি
এই তিথির জাতকরা নানান গুণের অধিকারী হন ও কীর্তি গড়েন। বহু শিল্পগুণের অধিকারী হন। এমনকী শাস্ত্রেও এঁদের অগাধ জ্ঞান থাকে। বিদ্যায়ও এঁরা পারদর্শী। বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন এঁরা। এঁদের কন্যা সন্তান হওয়ার যোগ বেশি।
দশমী তিথি
এই তিথিতে জন্মগ্রহণকারী জাতকদের ধনের অভাব হয় না। প্রতিভাশালী, পরিবারের কল্যাণে কাজ করেন। শিল্পী হওয়ার প্রবণতা থাকে। ঘুরতে ভালবাসেন এই জাতকরা। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন।
একাদশী তিথি
এই তিথির জাতকরা শুদ্ধ-সাত্ত্বিক বিচারের ব্যক্তি হন। ধর্মীয় মনোভাবাপন্ন হন। এঁরা ধনী হন এবং গুরুর সেবা করে যান। ন্যায়ের পথে হাঁটেন। একাধিক সন্তান হয়। চঞ্চল মনের অধিকারী হন।
দ্বাদশী তিথি
নিজের জীবনে ভ্রমণ বা বহু দেশ-বিদেশ যাত্রা করেন এই তিথিতে জন্মগ্রহণকারী জাতকদের বিদেশ যাত্রা থাকে। দ্বাদশী তিথিতে জন্মগ্রহণকারী জাতকদের মন অত্যন্ত চঞ্চল হয়। সব সময় নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা থাকে এঁদের মধ্যে।
ত্রয়োদশী তিথি
এই তিথির জাতকরা ধনী, মেধাবী, গুণী, হন। এই জাতকরা ভাল শিক্ষক হন। উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। সমাজে এঁদের মান-সম্মান বজায় থাকে।
চতুর্দশী তিথি
এই তিথিতে জন্ম হলে সাহসী হন। মিথ্যা ও প্রতারণা এক্কেবারে বরদাস্ত করতে পারেন না এঁরা। এই জাতকরা শান্ত স্বভাবের হলেও একবার রেগে গেলে এঁদের নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। দরিদ্র এবং সাধকদের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা থাকে।
অমাবস্যা
অমাবস্যার জাতকরা কঠোর হন। এঁদের কথা ও কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য থেকে যায়। জাতকরা চতুর ও কূটিল হন। এঁদের ব্যবহার ও আচরণ কঠোর হয়।
পূর্ণিমা
এই তিথিতে জন্মানো ব্যক্তি ধনশালী ও বুদ্ধিমান হন। জাতকরা খাদ্যরসিকও হন। নানা ধরণের খাবারে লোভ থাকে। পরস্ত্রী বা পরপুরুষের উপর আসক্তি থাকে জাতকদের।