নারী এবং পুরুষ উভয়ের মেলবন্ধনে সংসার সুখের হয়ে ওঠে। কিন্তু সংসার কতটা সমৃদ্ধ হবে তা নির্ভর করে নারীর উপরই। হিন্দু শাস্ত্র এবং জ্যোতিষ মতে নারীকে এ জন্য বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে, বিয়ের পর স্ত্রী ভাগ্যে সৌভাগ্যশালী হয়েছেন বহু মানুষ। কারণ নারীরা তাঁদের ভাগ্যের জোরে শুধু নিজের পরিবার নয়, স্বামীর পরিবারেও সৌভাগ্যে ভরিয়ে দিতে পারে। এমন নারীদের কিছু লক্ষণ থাকে। শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে এই লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সেই নারী অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী। তিনি যেখানেই যাবেন, সকলকে সমৃদ্ধ করবেন।
দেখে নিন কী কী সেই লক্ষণগুলি:
চোখ এবং মুখ
বড় চোখ এবং গোল মুখের নারীরা সৌভাগ্যবতী হন। শাস্ত্রে নানা রকম চোখের আকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে গোল মুখ, সামান্য উঁচু চিবুক এবং বড় বড় টান চোখ থাকলে বুঝতে হবে সেই নারী অত্যন্ত সুলক্ষণা।
চুল তার কবেকার...
একঢাল কোমর পর্যন্ত ছাপানো চুল সৌভাগ্যশালী নারীর অন্যতম লক্ষণ বলে ধরা হয়। তবে চুল সমান হতে হবে। কোথাও পাতলা, কোথাও ঘন হলে হবে না। এঁরা সর্বত্র সৌভাগ্য বয়ে আনেন।
তিল
শাস্ত্রে তিল তত্ত্ব নিয়ে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে যে নারীর গলার বাঁ দিকে কালো তিল থাকে তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবতী বলে বিবেচিত হন। এঁরা আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হন।
হাত ও পায়ের তালু
বিয়ের পর দুধে আলতা গুলে নববধূর সামনে রাখা হয়। একটি কাপড়ের উপর হেঁটে তিনি শ্বশুর দৃহে প্রবেশ করেন। এই রীতি বহু প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত হয়েছে। এর পিছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। শাস্ত্রে বলা রয়েছে, যে নারীর পায়ের মাঝখান মাটিতে স্পর্শ করে না (অর্থাৎ যাঁরা ফ্ল্যাট ফুটেড হন না) এবং যিনি হাতের তালুতে দীর্ঘ ক্ষণ জল ধরে রাখতে পারেন, তিনি খুব সৌভাগ্যশালী হন।