নিজের একটা বাড়ি, এই স্বপ্ন কে না দেখেন! তবে হোম লোন ছাড়া এই স্বপ্ন পূরণ হবে কী করে? আর হোম লোন মানেই তো মোটা টাকার মাসিক কিস্তির বোঝা। হোম লোন নেওয়ার সময়, প্রায়শই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একদিকে যেমন ক্রেডিট স্কোর নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে ঋণের ওপর ট্যাক্সের আশঙ্কা। সর্বোপরি, বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে! তবে এটিও সত্য যে লোন না নিয়ে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি হয় না।
আর এই ঋণের ইএমআই এত বেশি যে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরো বাজেট, হিসাব এলোমেলো হয়ে যায়। তবে এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে গৃহঋণের উপর চাপানো শুল্কে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বাজেটে গৃহঋণের উপর চাপানো শুল্কে ছাড়ের সম্ভাবনা কতটা? জেনে নিন...
উচ্চ বেকারত্বের হার, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পরিবেশে আশা করা হচ্ছে যে, এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এ স্বতন্ত্র করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। সরকার ২০২২ সালের বাজেটে খরচ বাড়ানোর জন্য করদাতাদের নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২২ সালের বাজেট পেশ করা হবে।
এসএমসি গ্লোবাল সিকিউরিটিজ একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, কেন্দ্র স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করতে পারে। এসএমসি গ্লোবাল সিকিউরিটিজের আশা, হোম লোনের সুদের হার এবং মূল অর্থ পরিশোধ উভয়ের উপরই করের সুবিধা প্রতি ৫০,০০০ টাকার ভিত্তিতে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে, হোম লোনের সুদের উপর কর সুবিধা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং মূল পরিমাণ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সরকার তিন বছরের জন্য গৃহঋণে ৩-৪ শতাংশ সুদে ভর্তুকিও দিতে পারে বলে আশা করা হয়েছে।
গোদরেজ হাউজিং ফাইন্যান্স (জিএইচএফ) দ্বারা পরিচালিত 'পোস্ট 'জেনারেশন-রেন্ট'-এর সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলকাতার ৬০% মানুষ এখন মহামারী-পরবর্তী বিশ্বে বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবে সম্পদ নির্মাণ এবং সম্পত্তি ক্রয়ের দিকে আরও বেশি ঝুঁকছেন।
সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয়েছে, শহরের ৩৫% মানুষ একটি নতুন বাড়ি কেনাকেই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সেরা বিনিয়োগ বলে মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে গড়ে ৩২% মানুষ বাড়ি কেনাকে জীবনের সেরা বিনিয়োগ বলে মনে করেন। শহরের ২৯% মানুষ একটি নতুন বাড়ি কিনতে আগ্রহী। এ বারের বাজেটে গৃহঋণের উপর চাপানো শুল্কে কিছুটা ছাড় দেওয়া হলে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কেন্দ্র ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের ফ্ল্যাট ও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা ঘোষণা করতে পারে। বর্তমানে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকার উপর কর ছাড়ের বিশেষ সুবিধা দেয় কেন্দ্র। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাঁদের স্বপ্নের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।