আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারেও সোনা ও রুপোর দামে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে সোনা ও রুপোর দামের তীব্র পতন হয়েছে।
বিদেশী বাজার থেকে পাওয়া দুর্বল সংকেতের কারণে আজ সোনার দাম ২ মাসের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে আজ রুপোর দামেও তীব্র পতন হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা-রুপোর দাম বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের নীতি কঠোর করার লক্ষণে বন্ডের ফলন বাড়ছে, বিনিয়োগকারীদের সোনা ও রুপোর পরিবর্তে ক্রমবর্ধমান হারের সুবিধা নিতে প্ররোচিত করছে, যা বুলিয়ন বাজারে চাপ সৃষ্টি করছে।
সোনার দাম কোথায় পৌঁছেছে?
আজ মাল্টি কমোডিটি এক্সেঞ্জে (MCX), সোনার দাম ০.৪ শতাংশ কমে প্রতি ১০ গ্রামে ৫০,২০০ টাকার স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে, রুপোর দাম কেজি প্রতি ৫২,৩৯৫ টাকায় নেমে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পাওয়া দুর্বল সংকেতের কারণে দামের এই পতন হয়েছে। বিদেশের বাজারে সোনার দাম ৬ সপ্তাহের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সকালের প্রাথমিক লেনদেনে সোনার দাম প্রতি আউন্স ১৭০৬.৩১ ডলারে নেমে এসেছে। একই আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম ০.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ১৭.৮৩ ডলারে রয়েছে। এটি রুপোর দুই বছরের সর্বনিম্ন দর।
কেন পড়ল সোনা-রুপোর দাম?
ডলারের ক্রমাগত শক্তির কারণে সোনা ও রুপোর দাম কমেছে। ডলারের সূচক আজ বৃদ্ধি পেয়ে ১০৮-এর পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফেডারেল রিজার্ভের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের ফলন বাড়ছে।
বিনিয়োগকারীরা ক্রমবর্ধমান সুদের হারের সুবিধা নিতে নিরাপদ সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করছে এবং সোনা বর্তমানে তার আকর্ষণ হারাচ্ছে। এটি SPDR গোল্ড ট্রাস্টের হোল্ডিংয়েও এর ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। হোল্ডিং বর্তমানে ৯৭৩.৩৭ টনে নেমে এসেছে।
বিশুদ্ধতা পরিমাপ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সোনায় হলমার্ক দেয়। এই মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৪ ক্যারেটে সোনায় ৯৯৯, ২৩ ক্যারেটে ৯৫৮, ২২ ক্যারেটে ৯১৬, ২১ ক্যারেট সোনায় ৮৭৫ এবং ১৮ ক্যারেটে ৭৫০ নম্বর লেখা থাকে। এই নম্বর দেখেই সোনার বিশুদ্ধতার আন্দাজ করা যায়। কেনার আগে এই নম্বর দেখে নেওয়া জরুরি।