করোনা মহামারীর প্রভাব রিয়েল এস্টেট সেক্টরে গভীর ছাপ ফেলেছে। কনফেডারেশন অফ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারস' অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়া (CREDAI) দেশজুড়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব জানতে একটি সমীক্ষা করেছিল যা রিপোর্ট সম্প্রতি 'হাউজিং প্রাইস ট্র্যাকার ২০২২' নামে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
এই সমীক্ষায় দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, পুনে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং আহমেদাবাদের বর্তমান রিয়েল এস্টেটের দাম ও পরিস্থিতি সামনে এসেছে। CREDAI-এর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘস্থায়ী মন্দার পরে ২০২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পর্যন্ত হিসাবে এক বছরে ভারতে গড় আবাসনের মূল্য ৪% বেড়েছে, যা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের বাজার ফেরার ইঙ্গিত বহন করে।
CREDAI-এর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশের রাজধানী শহর দিল্লিতে সবচেয়ে বেড়ে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম। দিল্লি-এনসিআর-এ আবাসনের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এখানে এক বছরে ১১.৩% বেড়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম।
দিল্লির পরই যে তিন শহরে আবাসনের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে সেগুলি হল, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ আর কলকাতা। বিগত এক বছরে হায়দরাবাদে ৯ শতাংশ, আহমেদাবাদে ৮ শতাংশ আর কলকাতায় ৬ শতাংশ বেড়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম।
কনফেডারেশন অফ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারস' অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়া (CREDAI)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় শেষ ত্রৈমাসিকে আবাসনের দাম প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে কলকাতায় প্রতি স্কোয়্যার ফুটের দাম গড়ে ৬,২৪৫ টাকা।
CREDAI প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত এক বছরে আবাসনের মুল্যবৃদ্ধিতে কলকাতা মুম্বই, চেন্নাই, পুনে, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবে নতুন মুম্বই ও তার সংলগ্ন শহরতলিতে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম প্রায় ৯-১০% বেড়ে গিয়েছে।
CREDAI-এর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহামারী পরবর্তিতে স্টিল, সিমেন্ট ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ার ফলে ৮৮ শতাংশেরও বেশি ডেভেলপারদের আবাসন নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বেড়ে গিয়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ির দামও।
রিয়েল এসেস্ট ভারতের জিডিপি-র ৬-৭% ধরে রাখে এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থানের উৎস। রিয়েল এসেস্ট দেশের ২৭০টিরও বেশি আনুষঙ্গিক শিল্পের ক্ষেত্রে ব্যবসার অগ্রগতির মূল কারণও। CREDAI-এর এই রিপোর্টে এই ক্ষেত্রের বাজার ফেরার ইঙ্গিত মেলার পাশাপাশি ফ্ল্যাট-বাড়ির বাড়ন্ত দাম মধ্যবিত্তর সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।