আপনি কি সোনায় বিনিয়োগের কথা ভাবছেন? তাহলে এটাই সোনায় বিনিয়োগের সেরা সময়! কারণ, কারণ, এক বছরে প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ৮০০০ টাকা দাম পড়েছে সোনার!
তার উপর আজ থেকে পঞ্চম কিস্তির সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) প্রকল্পে সাবস্ক্রিপশনের সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ, বাজার দরের চেয়ে অনেকটাই সস্তায় সোনা কেনার সুযোগ রয়েছে আপনার কাছে। একইসঙ্গে এই বিনিয়োগে মিলবে কর ছাড়ের সুবিধাও!
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) পরিচালিত এই সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) প্রকল্পে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্তই বিনিয়োগ করা যাবে। এক নজরে জেনে নিন এই সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) সম্পর্কিত কয়েকটি জরুরি তথ্য...
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) পরিচালিত এই সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) প্রকল্প ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পে কমপক্ষে এক গ্রাম সোনা কেনা যায়। বিনিয়োগকারীরা এটি অনলাইনে বা নগদে কিনতে পারেন। এর পরিবর্তে সমান মূল্যের একটি সার্বভৌম সোনার বন্ড তাঁদেরকে দেওয়া হয়।
পঞ্চম কিস্তির সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) প্রকল্পে প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনায় প্রায় ৫০০ টাকা কমে কেনার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সার্বভৌম স্বর্ণের বন্ডগুলি গত মে মাস থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ছয়টি কিস্তিতে জারি করা হবে।
চতুর্থ কিস্তির সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) ২৪ ক্যারেট সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম ছিল ৪৮,০৭০ টাকা। অর্থাৎ, ১ গ্রাম সোমার দাম ছিল ৪,৮০৭ টাকা। পঞ্চম কিস্তির সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) ২৪ ক্যারেট সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম ৪৭,৯০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ, ১ গ্রাম সোমার দাম পড়ছে ৪,৭৯০ টাকা।
অনলাইনে আবেদন করা বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বন্ডের দাম আরও কম। প্রতিবারের মতো এ বারেও অনলাইনে আবেদন করা বিনিয়োগকারীদের বন্ডের নির্ধারিত দামের উপর প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ, অনলাইনে আবেদন করা বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বন্ডের মূল্য হবে প্রতি গ্রামে ৪,৭৪০ টাকা।
এই প্রকল্পের আওতায় ১ গ্রাম থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত সোনার বন্ড বাজার দরের তুলনায় কম দামে কেনার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সস্তায় সোনা কেনার পাশাপাশি এই সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) প্রকল্পে মিলবে ২.৫ শতাংশের নিশ্চিত রিটার্ন!
ম্যাচিউরিটিতে সার্বভৌম স্বর্ণবন্ড (Sovereign Gold Bond) করমুক্ত হয়ে থাকে। এই বিনিয়োগে ডিফল্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। তাছাড়া এই বিনিয়োগে ঋণের সুবিধাও পাওয়া যায়। এই বন্ড ৮ বছর পর ম্যাচিওর হয়। অর্থাৎ, ৮ বছর পর এর থেকে টাকা পাওয়া যেতে পারে। তবে ৫ বছর পরেও এর থেকে টাকা তোলা যেতে পারে।