8th Pay Commission Update: সপ্তম পে কমিশনের মেয়াদ আর ৭ দিন, ২০২৬-এ কি মাইনে বাড়ছে?

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, কারণ এই দিনে সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। এটি অষ্টম বেতন কমিশন সম্পর্কে প্রত্যাশা বাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবরে, কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের শর্তাবলী অনুমোদন করে। কমিশনকে ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে প্রায় ১৮ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, বেতন, ভাতা এবং পেনশন সম্পর্কিত সুপারিশগুলি সরকারের কাছে জমা দেওয়ার জন্য।

Advertisement
সপ্তম পে কমিশনের মেয়াদ আর ৭ দিন, ২০২৬-এ কি মাইনে বাড়ছে?অষ্টম বেতন কমিশনের টাকা কবে থেকে মিলবে?

8th Pay Commission Update: ক্যালেন্ডারের তারিখটা দেখুন—আজ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫। নতুন বছর পরিবর্তনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য, এই 'নতুন বছর' কেবল ক্যালেন্ডারের পরিবর্তনই নয়, বরং একটি যুগের সমাপ্তিও। প্রযুক্তিগতভাবে, সপ্তম বেতন কমিশনের চক্র ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে শেষ হচ্ছে। এটি কি নতুন ভোরের আগমন, নাকি দীর্ঘ অপেক্ষা? প্রসঙ্গত, ক্যালেন্ডারের তারিখগুলি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এদিকে, সরকারি অফিসের করিডোরে আলোচনার একমাত্র বিষয় হল: 'আগামী বছর (২০২৬) আসছে, কিন্তু আমাদের ভাগ্যের তালা কি খুলে যাবে?'

নিয়মে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো প্রতি ১০ বছর অন্তর সংশোধন করা উচিত। ১ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হবে । কিন্তু এটা কি এতই সহজ? ১ জানুয়ারি ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই কি আপনার স্যালারি  স্লিপ বদলে যাবে? উত্তর হল না।

বাস্তবায়নের তারিখ এবং অর্থ প্রাপ্তির মধ্যে প্রায় দুই বছরের ব্যবধান থাকতে পারে। কেন এই বিলম্ব হচ্ছে? ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এতে কী ভূমিকা পালন করবে? এবং সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর থেকে আপনার বেতন কত বাড়বে?

বিস্তারিত বুঝে নিন?
সরকারি রীতি অনুসারে, ১ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখকে কাগজে নতুন বেতন কাঠামোর কার্যকর তারিখ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে সেই সময়ে কর্মচারীদের বেতন তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হতে শুরু করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কার্যকর তারিখ এবং প্রকৃত অর্থ প্রদানের মধ্যে প্রায়শই দীর্ঘ ব্যবধান থাকে। সপ্তম বেতন কমিশনের ক্ষেত্রেও এটিই ছিল। বেতনটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছিল, তবে জুন মাসে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া যায়। এরপরেই নতুন বেতন এবং বকেয়া বেতন দেওয়া শুরু হয়। 

বেতন কত বাড়বে?
এখন প্রশ্ন হলো অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ কত হবে। যদিও এখনও কোনও সরকারি পরিসংখ্যান নেই, পূর্ববর্তী কমিশনগুলির উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে গড়ে ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনে প্রায় ২৩-২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭। অষ্টম বেতন কমিশনের প্রাথমিক অনুমান ২০% থেকে ৩৫% বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৪ থেকে ৩.০ এর মধ্যে হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা নিম্ন স্তরের কর্মীদের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে উপকারী হতে পারে।

Advertisement

তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। যার মধ্যে রয়েছে, আগামী মাসগুলিতে মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা, সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি, কর রাজস্ব এবং রাজনৈতিক ভারসাম্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে সরকার 'ফিল গুড' বৃদ্ধি প্রদানের চেষ্টা করবে, তবে ভাতা এবং ডিএ-তে পরিবর্তনগুলি সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করবে। আপাতত, মনে করা হচ্ছে যে জানুয়ারি ২০২৬ শুধুমাত্র রেফারেন্স তারিখ হবে, যখন প্রকৃত বেতন বৃদ্ধি এবং বকেয়া সম্ভবত ২০২৬-২৭ সালে পাওয়া যাবে। তাই, আশাবাদী থাকুন, তবে কিছুটা অপেক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

POST A COMMENT
Advertisement