লোকসভায় পাশ হল আয়কর বিল, ২০২৫ এর 'সংশোধিত' ভার্সান। গত সপ্তাহেই পুরনো খসড়া প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর এই নতুন বিল পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই নতুন সংশোধিত বিলের মূল লক্ষ্য ‘ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট, ১৯৬১’ এর জায়গায় আধুনিক ও সহজবোধ্য আইন আনা। সিলেক্ট কমিটির বেশিরভাগ সুপারিশই এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানতে চাইছেন, আগের বিলটি উইথ ড্র কেন করা হল?
পুরনো বিল প্রত্যাহার করার কারণ
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আয়কর বিলের প্রথম খসড়া পেশ হয়। গত ছয় দশকে এটিই কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কারের প্রস্তাব বলা যেতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সেটি প্রত্যাহার করে নেয়। সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, ভাষা আরও সহজ করা, প্রতিটি কথার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা, ক্রস রেফারেন্স দেওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই পুরনোটি উইথ ড্র করে নতুন করে খসড়া পেশের সিদ্ধান্ত।
কমিউটেড পেনশন নিয়েই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন
নতুন বিলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছেযে, সুনির্দিষ্ট ফান্ড (যেমন LIC Pension Fund) থেকে পাওয়া ‘কমিউটেড পেনশন’ বা এককালীন পেনশনের ক্ষেত্রে কর ছাড় পাওয়া যাবে। আগের খসড়ায় এই ছাড়ের কথাটা পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল না। তাই দেখে সিলেক্ট কমিটি এটি যোগ করার সুপারিশ করে।
এ প্রসঙ্গে ধ্রুবা অ্যাডভাইজরসের সিইও দিনেশ কানাবার জানালেন, 'নতুন বিলে অনেক ভাল ভাল পরিবর্তন করা হয়েছে। LLP-র উপর Alternate Minimum Tax তুলে দেওয়া, দাতব্য ট্রাস্টের উপর হাজারো নিয়মনীতি কিছুটা শিথিল করা, ট্রান্সফার প্রাইসিং কখন প্রযোজ্য হবে সেই শর্তে বদল করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এগুলি সবকটাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।'
আগের খসড়ার মূল বৈশিষ্ট্য
গত ফেব্রুয়ারিতে যে খসড়া পেশ হয়েছিল, তাতেই কর সংক্রান্ত আইনকে সরল করা লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। এছাড়া কিছু অপরাধ বা ভুল ত্রুটির ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক কমানো, ‘প্রথমত বিশ্বাস, পরে তদন্ত’ নীতির প্রয়োগ, ডিজিটাল মনিটরিংয়ের পরিকল্পনাও যোগ করা হয়। তবে মূল ট্যাক্স স্ল্যাব, ক্যাপিটাল গেইনসের ক্ষেত্রে নিয়ম বা আয়ের ভাগের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।