স্টক মার্কেট ক্র্যাশআরও একবার ভারতের উপর শুল্ক বোমা ফাটানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এ বার নিশানা ভারতের কৃষি ক্ষেত্র। ভারত সহ চিন, থাইল্যান্ড এবং আরও একাধিক দেশের থেকে আমেরিকায় আমদানি করা চালের উপর শুল্ক বসাতে চলেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আর ট্রাম্পের এই শুল্ক আক্রমণের ইঙ্গিতে ক্ষতবিক্ষত ভারতের শেয়ারবাজার। নিফটি এবং সেনসেক্স, দুই সূচকই পড়েছে।
দিনের শুরুতেই ৪৯৩ পয়েন্ট নেমে গিয়েছে সেনসেক্স। একই অবস্থা নিফটিরও। এই সূচকও ১৫০ পয়েন্ট নেমে গিয়েছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
মঙ্গলবার ৮৫০০০ পয়েন্টের নীচে নেমে গিয়েছে সেনসেক্স। আর এটা ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ভয়েই হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে আগের দিন ৮৫,১০২,৬২-তে শেষ করেছিল সেনসেক্স। আর এ দিন শুরুটাই হয় খারাপ। ৮৪,৭৪২.৮২-তে নেমে যায় সূচক। তারপর আরও দ্রুত গতিতে পড়ে যায় ৪৯৩ পয়েন্ট। এটি ট্রেডিং করতে শুরু করে দেয় ৮৪৫৯৭ পয়েন্টে।
কী বলেছেন ট্রাম্প?
আমেরিকার কৃষকরা ভারতের চালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের দাবি হল, বিদেশ থেকে আসা চাল সেখানকার চালের দামের উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে। যার ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম অনেকটাই কমে যাচ্ছে। আর এই অভিযোগ শোনার পরই ট্রাম্প রেগে আগুন হয়ে যান বলে খবর। তিনি স্পর্ষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, যেই সকল দেশ এমনটা করছে, তারা প্রতারণা করছে আমেরিকার সঙ্গে। তাই তিনি দ্রুত এই সমস্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। আর তার ব্যবস্থা মানেই যে শুল্ক, এই কথা তো নতুন নয়।
অভিযোগের তির রয়েছে ভারতের দিকে
হোয়াইট হাউজে একটা গোল টেবিল বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তাঁর কাছে ভারত সম্পর্কে অভিযোগ জানান কেনেডি রাইস মিলসের সিইও মেরিল কেনেডি। তিনি জানান, ভারত, চিন এবং থাইল্যান্ড আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে চাল রপ্তানি করছে। এছাড়া চিনের চাল সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, পুয়ের্তো রিকোতে পাঠানো হচ্ছিল। যার জন্য দক্ষিণ আমেরিকার চাল উৎপাদনকারীদের সমস্যা হচ্ছিল।
ভারতকে শুক্ল দিতে হবে
এই বৈঠকেই ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, , 'ভারতকে কেন এটি (আমেরিকায় চাল রপ্তানি) করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? তাদের শুল্ক দিতে হবে। তারা কি চালের উপর ছাড় পেয়েছে?'