বুধবার ফের ডিএ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) বাড়ানো হয়েছে। ফলে তাঁরা এবার ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁকা এখন ডিএ পাচ্ছেন মাত্র ৬ শতাংশ। তাঁদের পাওয়া ডিএ-এর কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক হল ৪০ শতাংশ। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাশে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পরামর্শ দিলেন সরকারি কর্মীদের। বুঝবার হাওড়ার এক দুর্গাপুজো মণ্ডপ থেকে তিনি সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দেন।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ডিএ নিয়ে মন্তব্য করে তিনি সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'শুধু ঘেউ ঘেউ করলে হবে না। এবার কামড়াতে হবে, তবে ডিএ দেবে।'
এখানেই না থেমে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। আমার মনে হয় আর না কামড়ালে কিছু হবে না। এই রাজ্য নারী পাচারে এক নম্বরে । বাংলার বাইরের রাজ্যের নিষিদ্ধ পল্লি বাংলার মেয়েদের দ্বারা ভর্তি। এটা আমরা নয় নিরপেক্ষ এনজিওরা বলছে। বাইরের রাজ্যে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লিতে বাংলার মেয়েদের দেখা যায়। কামদুনির মামলাতে ১০ থেকে ১২ বার মুখ্যমন্ত্রী আইনজীবী বদল করেছেন। নিম্ন আদালতে যাদের ফাঁসির সাজা হয়েছিল তারা বেকসুর খালাস পেয়েছে। বিচারব্যবস্থায় এরকম রায় এলে কে ভয় করবে?'
পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ' রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই জেলে রয়েছে। প্রাক্তন জেলে গেছেন আর বর্তমান যাবে যাবে করছেন, এখন দেখুন কতদিনে যায়'।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তৃণমূল সরকারি কর্মী সংগঠনের সমাবেশে ডিএ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অযথা ডিএ নিয়ে ঘেউ ঘেউ, মিউ মিউ করবেন না ৷’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সরকারি কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী কুকুর বলেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্ট এই মন্তব্য অনভিপ্রেত বলেও মন্তব্য করে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি ও সরকারি কর্মীরা।