ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কমানো হয়েছে নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জিএসটি (GST)। সাধারণ মানুষের পকেটের টান কমানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে বাস্তবে এই সুবিধা অনেক ক্ষেত্রেই মিলছে না বলে অভিযোগ। বহু ই-কমার্স সাইট বা স্টোরে পুরনো দামেই জিনিস বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের কোনও সাশ্রয়ই হচ্ছে না। উল্টে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে।
আর এই ঘটনার জন্য জনসমক্ষে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় রাগ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষের একাংশ। তাদের মতে, খাতায় কলমে জিএসটি কমলেও তেমন কোনও লাভ হচ্ছে না। সেই একই দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে।
যদিও এমন অসংখ্য অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। তারা চাইছেন যাতে জিএসটি ছাড়ের লাভ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল কনজিউমার ফোরাম হেলপলাইনে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে এই হেলপলাইন জিএসটি বিষয়ক নানা অভিযোগ গ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, সেগুলির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেটাও নিশ্চিত করছে। এছাড়া সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমারের পক্ষ থেকেও প্রতিটি ন্যায্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে অভিযোগ দাখিল করার পদ্ধতিগুলি জেনে নিন-
কী ভাবে অভিযোগ দাখিল করবেন?
জিএসটি সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ আপনি বিভিন্ন ভাবে দাখিল করতে পারেন। প্রথমত, আপনি ১৯১৫-এ কল করে ন্যাশনাল কনজিউমার হেলপলাইনে অভিযোগ করতে পারেন। অথবা চাইলে কনজিউমার ফোরামের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে, মোবাইল অ্যাপে, ই-মেইলে বা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে নিজের অভিযোগ জানাতে পারেন।
১৭টি ভাষায় অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব
সাধারণ মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন, সেই দিকটা নিশ্চিত করতে চেয়েছে সরকার। যার ফলে ১৭টি ভাষায় কমেপ্লেন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লাখের উপর অভিযোগ জমা পড়েছে
জিএসটি রেট কাট জারি হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ১ লাখের উপর অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিলে সাধারণ মানুষের পকেটে কিছু টাকা বাঁচবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও বাজারের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। আর সেটাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।