এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও ডিএ পাননি। মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের ১২ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা সরকার। তারপরই এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট। পোস্টটি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা এর আগে একাধিকবার ডিএ নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। আর ত্রিপুরা সরকারের ডিএ ঘোষণার পর তিনি ফেসবুকে লেখেন- 'পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অবস্থা চাতক পাখির মতো। আশা করছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের 'অন্তহীন উপেক্ষা'র অবসান খুব শীঘ্রই ঘটবে।'
'খুব শীঘ্রই' সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন এই কথা কেন বললেন শুভেন্দু অধিকারী? সরকারি কর্মীদের একংশের বক্তব্য, মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবে সেই মামলায় সরকারি কর্মীরা জিতবেন বলেই হয়তো আশা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই কারণেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন : ১২ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি সরকারি কর্মীদের, পড়শি রাজ্যের বড় সিদ্ধান্ত
শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, 'ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বছরের প্রাক্কালে দারুণ সুখবর। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পয়লা ডিসেম্বর তারিখ থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন৷ রাজ্যের সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করে একেবারে ২০% হারে প্রদান করার ঘোষণা করা হয়েছে৷ এর ফলে রাজ্যের ১ লক্ষের বেশি সরকারি কর্মচারী ও আশি হাজারের বেশি পেনশনভোগীরা সরাসরি লাভবান হবেন৷ ডিএ বৃদ্ধির জেরে আগামী আর্থিক বছর থেকে ত্রিপুরা সরকারের মোট ১৪৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হতে চলেছে৷'
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। আগামী ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট ডিএ মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন হিসেবে ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। তবে সেদিনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।