রাজ্যের বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা পাল্টা আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। শুক্রবার ডিএ-আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ। বলেন, 'আদালতের উপর ভরসা না থাকলে দেশে থাকারও অধিকার নেই।' তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কনভেনর ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'উনি বরং দেশত্যাগ করে দেশকে ভারমুক্ত করুন।'
গত ১৬ দিন ধরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান-আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে গঠিত এই মঞ্চের দাবি অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই আন্দোলন নিয়েই শুক্রবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'একদিকে আমরা কোর্টেও যাব, আবার আমরণ অনশন করব দুটোই হয় নাকি ? একটা ঠিক করতে হবে। কেসটা এখন সুপ্রিম কোর্টে আছে। তারা ঠিক করবে সবটা। যাদের কোর্টের উপরে ভরসা নেই তাঁরা ভারতবর্ষে থাকার উপযোগী নয়।'
আরও পড়ুন : রাজ্যে ভ্যাপসা গরম পড়ছে, তার মধ্যেই পরপর ৩ দিন বৃষ্টি; পূর্বাভাস
রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্যেই চটেছেন ডিএ-র আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কমভেনর ভাস্কর ঘোষ আজতক বাংলাকে বলেন, 'এই দেশে থাকার অধিকার ওঁর থেকে আমাদের অনেক বেশি করে আছে। দেশে সুনাগরিকরা থাকুন, এটাই কাম্য। গেঞ্জি পরে টাকা নেওয়া কোনও নাগরিক যদি দেশে থাকে তাহলে পরিবেশটাই কলুষিত হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই, উনি দেশত্যাগ করে দেশকে কলুষিত মুক্ত করুন।'
ভাস্কর ঘোষের আরও সংযোজন, 'এই সব মন্তব্য করে ওঁরা মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে তো সরকারই গেছে। ওঁরা দাবিটা নিয়ে কথা বলুন। আমরা দেশে থাকব না বাইরে থাকব সেটা উনি ঠিক করে দেবেন না। সেটা দেশের সংবিধান ঠিক করে দেবে।'
আরও পড়ুন : Pension : পেনশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, এবার থেকে প্রতি মাসে মালামাল হবেন পেনশনভোগীরা
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন একত্রে যৌথ মঞ্চ তৈরি করে ডিএ আন্দোলন জোরদার করেছেন ৷ প্রতীকী অনশনও করেছেন৷ কিন্তু, তারপরও বকেয়া ডিএ মেলার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ এরই মধ্যে সুবিচারের আশায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনকড়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও চিঠি পাঠিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ৷