রাত পোহালেই রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলার দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। সেই মামলার বেঞ্চ বদল হল। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্টার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন। বেঞ্চে বদল ঘটেছে। মাননীয় বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের সঙ্গে এই বেঞ্চে যুক্ত হয়েছেন মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
এর আগে এই মামলার দুটি শুনানি হয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে উঠেছিল। তবে এবার মাননীয় বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের সঙ্গে মামলা শুনবেন বিচারপতি দত্ত। দুজনই বাঙালি।
প্রসঙ্গত, বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সেখান থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হলেন মাননীয় দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Dutta)। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নেন তিনি।
আরও পড়ুন : রাজ্যের ডিএ মামলার বড় আপডেট: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল শর্টনোট, 'বকেয়া মিলবেই'
গত ৫ ডিসেম্বরের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিং ভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মুহুর্তে ডিএ বাবদ বকেয়া ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এটা রাজ্যের কাছে বিপুল আর্থিক বোঝা। এই টাকা মেটালে রাজ্যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। রাজ্য সরকার বারবার ডিএ মেটাচ্ছে। এমনটা নয় যে, ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। এবং এখনও পর্যন্ত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বছরে দু'বার এরিয়ার-সহ ডিএ দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে। সেটা কখনই সম্ভব নয়।
তার পাল্টা যুক্তি দেন কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষে মীনাক্ষী আরোরা। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানান,১২৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে বলে যে দাবি রাজ্য করছে তা অস্বীকার করছেন না। রাজ্য সরকারি কর্মচারী বছরে দু'বা ডিএ চাইছেন, এমনটাও নয়। ডিএ-র ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার্স ইনডেক্স মেনে চলা হয়। সেক্ষেত্রে যদি অল ইন্ডিয়া কনজিউমার্স ইনডেক্স বছরে দু'বার পরিমার্জন করা হয়, সেক্ষেত্রে বছরে দু'বার ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। সেটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন : পাকা বাড়ি থাকলে আবাস যোজনার সুবিধে পাবেন? জানিয়ে দিল নবান্ন
তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার এই মামলায় বারবার হেরেছে। হাইকোর্ট ও স্যাট নির্দেশ দিয়েছে বকেয়া মেটাতে। অথচ সরকার তা বাস্তবায়িত করছে না। রাজ্য সরকার খামখেয়ালিপনা করছে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে। তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়। সরকার দাবি করছে তারা ডিএ দিচ্ছে। কিন্তু, কোন নিয়ম মেনে দিচ্ছে বা দিয়েছে সেই অবস্থান পরিষ্কার নয়। আর সব রাজ্যের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন।