রাজ্যের বকেয়া ডিএ মামলা নিয়ে বড় খবর। কালীপুজোর আগেই এই মামলা উঠতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা কজলিস্টে জানানো হয়েছে, ৩ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে ফের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা উঠতে পারে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হবে।
কালীপুজো ১৪ নভেম্বর। তার আগে এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সরকারি কর্মীরা। মামলাকারী সংগঠনকারীদের আশা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কারণ, আগে একাধিকবার মামলা পিছিয়ে গেছে।
সরকারি কর্মীদের আরও দাবি, এর আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারি পরিষদ, ইউনিটি ফোরাম ও স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন শর্টনোট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court DA Case)। ফলে তাদের তরফে থেকে যা করণীয় সব করা হয়েছে। মাঝে বিচারপতি বদল হলেও এই কেসের মামলাকারী সংগঠনগুলি কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করেছেন।
মামলাকারী সংগঠনগুলির আশা, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা SLP ডিসমিস হয়ে যাবে। এই মামলা ডিসমিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। এর আগে একাধিকবার মামলার শুনানির দিন পিছোলেও এবার কয়েক মাস পরে উঠছে মামলা। ফলে মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে।
গত ৫ ডিসেম্বরের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিং ভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মুহুর্তে ডিএ বাবদ বকেয়া ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এটা রাজ্যের কাছে বিপুল আর্থিক বোঝা। এই টাকা মেটালে রাজ্যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। রাজ্য সরকার বারবার ডিএ মেটাচ্ছে। এমনটা নয় যে, ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। এবং এখনও পর্যন্ত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার কথা। কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বছরে দু'বার এরিয়ার-সহ ডিএ দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে। সেটা কখনই সম্ভব নয়।
তবে তখন সরকারি কর্মীদের আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়, রাজ্য সরকার এই মামলায় বারবার হেরেছে। হাইকোর্ট ও স্যাট নির্দেশ দিয়েছে বকেয়া মেটাতে। অথচ সরকার তা বাস্তবায়িত করছে না। রাজ্য সরকার খামখেয়ালিপনা করছে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে। তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়। সরকার দাবি করছে তারা ডিএ দিচ্ছে। কিন্তু, কোন নিয়ম মেনে দিচ্ছে বা দিয়েছে সেই অবস্থান পরিষ্কার নয়। আর সব রাজ্যের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন।