scorecardresearch
 

Dearness Allowance : 'ডিএ মিলবে না, ছুটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের?'

'এই সরকার রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করেছে। দিনের পর দিন ছুটি দেওয়া হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। কিন্তু প্রাপ্য বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না। সরকার চলছে না সার্কাস তা বোঝা মুশকিল। সরকারি কর্মীরা কোনওদিন চাননি, তাঁদের ডিএ-র পরিবর্তে ছুটি দেওয়া হোক।'

Advertisement
Dearness Allowance Dearness Allowance
হাইলাইটস
  • রাজ্য সরকার কি ডিএ-র বদলে ছুটি দিচ্ছে ?
  • শুরু বিতর্ক, আসরে সরকারি কর্মীরা

রাজ্য সরকার ডিএ (dearness allowance) বকেয়া রেখেছে। এমন অভিযোগ করে এসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় অংশ। ডিএ পাওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Dearness Allowance Case) মামলাও লড়ছে সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন।  সম্প্রতি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ডিএ দেবে না বলেই রাজ্য সরকার এখন ছুটি দিচ্ছে।  সত্যিই কি তাই ? রাজ্য সরকারের তরফে এই নিয়ে কোনও বয়ান সামনে আসেনি। তবে সরকারি কর্মীরা দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তাঁদেরও দাবি দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন তা ১০০ শতাংশ সঠিক। তাঁরা বলছেন, 'ডিএ মিলবে না', সরকারি কর্মীদের, ছুটি দিয়ে তাই যেন বোঝাতে চাইছে রাজ্য সরকার। 

ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই সরকার রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করেছে। দিনের পর দিন ছুটি দেওয়া হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। কিন্তু প্রাপ্য বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না। সরকার চলছে না সার্কাস তা বোঝা মুশকিল। সরকারি কর্মীরা কোনওদিন চাননি, তাঁদের ডিএ-র পরিবর্তে ছুটি দেওয়া হোক। কিন্তু এই সরকার তাই যেন করছে। এটা কাম্য নয়। সরকারি কর্মীরা কাজ করবেন, হকের টাকা নেবেন। এটাই নিয়ম। কিন্তু তা হচ্ছে না। ছুটি দিয়ে ডিএ-র দাবি ভুলিয়ে রাখার যে চক্রান্ত রাজ্য সরকার করছে তা সফল হবে না।' 

ডিএ-র মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে সরকারি কর্মীদের এত ছুটি দেওয়ার সমালোচনা করা হয়। ওই সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'বাম সরকারও এত ছুটি দিত না। সেই আমলে দুর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে ছুটি দেওয়া হত। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হত। আর এখন তো দুর্গাপুজোর ছুটি লম্বা করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এছাড়াও কোনও উৎসবের দিন রবিবার থাকলে তার পরিবর্তে পরের দিন ছুটি দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্কৃতি এখন যেন ওলড এজ হোম আর হলিডে হোমের মতো হয়ে গেছে। এটা তো কাম্য নয়। কাজেই দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন তা সত্যি। তবে আমরা সুপ্রিম কোর্টে লড়ছি। ছুটি দিয়ে এই সরকার যতই ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করুক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে যাবে বলেই আমরা আশাবাদী। ন্যায্য হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মীরা।' 

আরও পড়ুন

Advertisement

সরকারি কর্মচারীদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ-র দাবিতে লড়াই করা আর এক সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের শ্যামল মিত্রও সরকারি কর্মীদের ছুটির সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টে বছরে ১৩৭ দিন ছুটি। হাইকোর্টে ১৩৫ দিন। ছটপুজো উপলক্ষ্য়ে বিহারে ছুটি ১ দিন। সেখানে আমাদের রাজ্যে ছুটি দেওয়া হল ২ দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত ছুটি দিচ্ছে যে কাজ করার মতো পরিস্থিতিই নেই কর্মীদের। সরকারি স্কুলগুলোর অবস্থাও খারাপ। সেখানে এত ছুটি দেওয়া হয় যে, ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস শেষ করতে পারেন না শিক্ষকরা। এই সরকারের লক্ষ্য হল, সরকারি ব্যবস্থাটা তুলে দিতে। রাজ্য সরকার এটা পরিকল্পনামাফিক করছে। যাতে সাধারণ মানুষ সরকারি কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। দিলীপ ঘোষ একদম ঠিক কথা বলেছেন।' 

Advertisement