GST 2.0 লাগু হয়ে যাচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, ৯০ শতাংশ দ্রব্যেই GST কমানো হয়েছে। India Today-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে GST র পরবর্তী রোডম্যাপ নিয়েও মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জোরাল ইঙ্গিত দিলেন, GST 3.0 আসতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। তিনি জানালেন, GST 2.0 তে দুটি স্ল্যাব কাঠামোয় রাখা হয়েছে, যাতে কর কাঠামো আরও সহজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, GST কমার সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ পায়, জিনিসপত্রের দামে যাতে তা লাগু হয়, তার জন্য কড়া নজরদারি করা হবে।
GST রোডম্যাপ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'GST 1.0 র উদ্দেশ্য ছিল এক্যমত হওয়া, GST 2.0 তে সহজ করা হল, আর সামনে হয়তো তৃতীয় পর্যায়ও আসতে পারে।' ২০১৭ সালে যখন প্রথমবার GST চালু হল, করকাঠামোতে গেম চেঞ্জার সিদ্ধান্ত ছিল। একাধিক পরোক্ষ করের বোঝা কমে গিয়ে একটি কর লাগু হয়। যার অর্থ ছিল, এক দেশ, এক কর। GST 2.0 তে তা আরও সরল করা হল।
সাধারণ মানুষের জন্য কী পরিবর্তন আসছে
কেন্দ্র জানাচ্ছে, এবার নজর দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তদের দিকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে থাকবে সর্বনিম্ন কর, আর বিলাসবহুল পণ্যে থাকবে বেশি কর। যেমন, লবণ ও চিনি একই হারে করের আওতায় থাকবে, কিন্তু সফট ড্রিঙ্ক বা বেশি চিনিযুক্ত পণ্যে কর আলাদা হবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও স্পষ্টতা আনা হয়েছে। নিয়মিত স্কুলশিক্ষা আগের মতোই করমুক্ত থাকবে, কিন্তু বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার আর সেই ছাড় পাবে না।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জোর দিয়ে বললেন, ব্যবসায়ী ও সংস্থাগুলিকে অবশ্যই কর হ্রাসের সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁর কথায়, '২২ সেপ্টেম্বরের পর আমাদের বড় নজরদারি কাজ শুরু হবে। কম করের সুবিধা যেন সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছয়। সরকারি সংস্থাগুলির উপরও কড়া নজর রাখা হবে।'
সামনে আসছে জিএসটি ৩.০
যদিও দুই স্ল্যাব ব্যবস্থা বড় স্বস্তি এনেছে, অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন পরবর্তী ধাপের, জিএসটি ৩.০। তাঁর ব্যাখ্যায়, তৃতীয় পর্যায় হবে সরলীকরণকে ধরে রাখা ও আরও কার্যকর করে তোলা। অর্থাৎ, জিএসটি ৩.০ র মূল লক্ষ্য হবে স্থিতিশীলতা, ন্যায়সঙ্গত করহার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ব্যবস্থা। সরকারের বিশ্বাস, এই সংস্কার শুধু করদাতাদের জীবন সহজ করবে না, ভোগ বাড়াবে এবং অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে। সীতারামনের কথায়, অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে আসবে, আরও বাড়বে। এই সংস্কারের উদ্দেশ্যই হল অর্থনীতিকে রক্ষা ও চাঙ্গা রাখা।
বাস্তবতা বনাম আশ্বাস
এখন প্রশ্ন উঠেছে,কোম্পানিগুলি আদৌ কি এই সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেবে? কারণ জিএসটি ব্যবস্থায় এখনও মুনাফাখোরি আটকানোর কোনও আলাদা ব্যবস্থা নেই। অর্থমন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, শিল্পমহল এই সুবিধা অবশ্যই মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।