শুক্রবার সকালে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জিএসটি হার কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই জিএসটি সংক্রান্ত বদল নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে ৫% এবং ১৮% দুটি করের কাঠামো সুপারিশ করা হয়েছে। তবে তামাক এবং পান মশলার মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের উপর চাপানো হতে পারে ৪০% জিএসটি। সরকারি সূত্রের খবর, এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে। সেপ্টেম্বরে জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। এজন্য দুদিনের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সরকারের প্রস্তাবিত জিএসটি সংস্কারের মধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্য, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পণ্য, হস্তশিল্প এবং বিমা। কেন্দ্র মনে করছে, জিএসটি হার কমালে বাড়বে চাহিদা। তার জেরে মানুষ খরচ করবেন। ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। এখন জিএসটিতে পাঁচটি প্রধান কাঠামো রয়েছে - ০%, ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। জিএসটির ১২% এবং ১৮% কাঠামোতেই বেশিরভাগ পণ্য ও পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত। প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছে, ১২% স্ল্যাব তুলে দেওয়া হোক। ওই পণ্যগুলিকে আনা হবে ৫% এবং ১৮% কাঠামোয়। সরকারি সূত্রের খবর, জিএসটি সংস্কারের পরে, স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমার মতো পরিষেবা আরও সাশ্রয়ী হবে।
দীপাবলির আগেই নতুন জিএসটি হার চালু হয়ে যাবে। কিন্তু কর কমালে কি সরকারি কোষাগার ধাক্কা খাবে না? কেন্দ্রের অভিমত, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং পরিষেবার উপর জিএসটি হার কমানোর ফলে রাজস্বে উপর সাময়িক প্রভাব পড়বে। তবে লাভই হবে। কারণ জিনিসপত্রের বিক্রিবাটা বাড়বে। দীর্ঘমেয়াদে পুষিয়ে যাবে রাজস্বের ক্ষতি।
আগামী সেপ্টেম্বরেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে হওয়ার কথা। সেখানেই সুপারিশগুলি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
জিএসটি সংস্কার নিয়ে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীপাবলির উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,'এবার ডাবল দীপাবলি হবে। দেশবাসী বড় উপহার পাবেন। গত ৮ বছরে জিএসটি সংস্কার করেছি। কর ব্যবস্থায় সরলীকরণ করেছি। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছি।আমরা নতুন প্রজন্মের জিএসটিতে সংস্কার করছি। বিরাট অঙ্কে কমানো হবে কর। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি'।