রোজই বাড়ছে সোনার দাম। গড়ছে নিত্যনতুন রেকর্ড। এই তো গত শুক্রবারই ১০ গ্রাম MCX সোনার দাম পার করে গিয়েছে ১৩২০০০ টাকা। অবশ্য দীপাবলির দিন কমেছে সোনার দাম। এমনকী শুক্রবার রেকর্ড করার পর সোমবার দাম কমেছে MCX রুপোরও। আর এমন পরিস্থিতিতেই সোনা এবং রুপোর দাম নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সোনা এবং রুপোর দাম যেমন উপরে গিয়েছে, ঠিক তেমনই আসবে নীচে।
এই বিষয়ে একই মত কোট্যাক মহিন্দ্রা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এমডি নীলেশ শাহের। তিনিও সোনা এবং রুপোর দাম নিয়ে সতর্ক করেছেন।
কী বলছেন তিনি?
তাঁর মতে, সোনার দাম বাড়ার পিছনে রয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ। আসলে এই যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সোনা কিনছে। যার ফলে বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম।
তাই তিনি সোনায় প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের বিরুদ্ধেই মত দিয়েছেন। তাঁর মতে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলি এই ধাতু কেনা কমালেই হলুদ ধাতুর দামে পরিবর্তন আসতে পারে।
পোর্টফোলিওর খুব বেশি অংশে না রাখার পরামর্শ
সোনা ও রুপোর দাম অনেকটা বেড়েছে। তাই অনেকেই এই ধাতুতে হাত খুলে ইনভেস্ট করছেন। পুঁজির অনেকটা অংশ দিয়ে সোনা ও রুপো কিনছেন। আর এই জায়গাতেই সাবধান করছেন শাহ। তিনি পোর্টফোলিওর একটা নির্দিষ্ট অংশই সোনা, রুপোতে বিনিয়োগ করার দিচ্ছেন পরামর্শ।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি না সোনা এবং রুপোর আসল ভ্যালু কত। এর কোনও ডিভিডেন্ট নেই, বোনাস নেই, নেই ক্যাশ ফ্লো। এই দামি ধাতুর ফান্ডামেন্টাল বোঝারও নেই কোনও উপায়। যদিও ইতিহাস আমাদের এই দুই ধাতুর দাম সম্পর্কে জানিয়েছে। তাই এই দুই ধাতু দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেন হয়।'
দুটি জিনিস মাথায় রাখবেন
এই ফান্ড ম্যানেজারের মতে, এই দুই ধাতুর কোনও ফান্ডামেন্টাল নেই। আর সেটা জানারও কোনও উপায় নেই। তাই দাম যখন উপরে গিয়েছে, তখন তা নামবে।
এমন পরিস্থিতিতে দুটি জিনিস মাথায় রাখতে বলেন শাহ। প্রথমত, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক যতদিন সোনা কিনছে, ততদিন এটা বেচবেন না। দ্বিতীয়ত, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক কিনছে বলেই রোজ রোজ সোনার দাম বাড়বে না।
কোন দেশে কত সোনা মজুত?
শাহ জানান, আমেরিকা, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্ভ করে সোনায়। তবে ভারত, জাপান এবং চিন মাত্র ১০ শতাংশ এ ভাবে জমা রাখে। কিন্তু এখন পূর্বের এই সব দেশগুলিও গোল্ড রিসার্ভ বাড়াতে চাইছে। এমনকী কেউ কেউ কিনতে শুরু করেছে রুপো। আর তাতেই দাম চড়ছে।