Lakshadweep Union Budget: লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক সফর ভারতে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে। পর্যটন ক্ষেত্রগুলিও লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের বিষয়ে খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রাভেল কোম্পানি এবং এয়ারলাইন্সও অফার দেওয়া শুরু করেছে। মালদ্বীপ না লাক্ষাদ্বীপ এই বিতর্কের মাঝে লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে। তবে পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে দেশের অনেক পর্যটনকেন্দ্র থেকে খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। সে বিষয়টি মাথায় রেখে এরই মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেটে লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে শক্তিশালী করতে, লাক্ষাদ্বীপ এবং অন্যান্য দ্বীপগুলিতে পর্যটন পরিকাঠামোর প্রচার করা হবে। যা এখানকার পর্যটনকে আরও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারবে। সম্প্রতি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পর্যটনের প্রচারের জন্য লাক্ষাদ্বীপ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু তারপর মালদ্বীপ থেকে ভারত ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ভেসে আসে মালদ্বীপের কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে।
লাক্ষাদ্বীপের সমুদ্র সৈকতের ছবি পোস্ট করার পরেই আসরে নামেন মলদ্বীপের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁরা। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝে ‘বিদেশি নেতা ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অবমাননাকর মন্তব্য’-এর অভিযোগে ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে মালদ্বীপ সরকার। পাশাপাশি জানিয়েছে, ওই মন্তব্যের সঙ্গে মলদ্বীপ সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই ব্যক্তিগত মন্তব্য। যদিও তাতে রোষ কমেনি ভারতীয়দের। তারপরই বয়টক মালদ্বীপ ডাক ওঠে সোস্যাল মিডিয়ায়। এর প্রভাবও পড়ে। অনেকেই মালদ্বীপের বুকিং ক্যানসেল করে লাক্ষাদ্বীপের দিকে ঝোঁকেন।
কিন্তু ছোট্ট জায়গা লাক্ষাদ্বীপে এত পর্যটক নেওয়ার মতো এখনও তেমন পরিকাঠামো নেই। এতদিন এটা ভারতে ঘোরার জায়গার মধ্যে প্রথম পছন্দের জায়গা না থাকায় এতটা পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রয়োজনও হয়নি। তবে এবার পর্যটকদের চাহিদা বাড়ানোর জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ।