Onion Price Hike: ভারতে পেঁয়াজের খুচরো দাম গত বছরে ৫৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪৭ টাকা হয়েছে। খারিফের মরসুমে পেঁয়াজ বপনে দেরি হওয়া এবং সরবরাহের কঠোর পরিস্থিতি সহ বেশ কয়েকটি কারণের কারণে এটি ঘটেছে। দাম স্থিতিশীল করার জন্য সরকার অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে স্টকে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। শুক্রবার, কেন্দ্র সরকার উপভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য স্টকে থাকা পেঁয়াজ বিক্রি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের বন্টন করা দর অনুযায়ী, শুক্রবার পেঁয়াজের খুচরো দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা ছিল যা দিল্লিতে এক বছর আগের এই সময়ে (২৭ অক্টোবর, ২০২২) প্রতি কেজি ৩০ টাকা ছিল। কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক সচিব রোহিত কুমার সিং পিটিআইকে বলেন, "অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে আমরা স্টকে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছি এবং দামের বৃদ্ধি রোধ করতে, উপভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য আমরা এর খুচরো বিক্রি বাড়াচ্ছি।"
কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের মতে, যে সব রাজ্যে দামের তীব্র বৃদ্ধি রয়েছে সেখানে পাইকারি ও খুচরো উভয় বাজারেই স্টকে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে, ২২টি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১.৭ লক্ষ টন পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হয়েছে।
বাংলার বাজারে পেঁয়াজের দর
দিল্লিতে পেঁয়াজের খুচরো ৪০ টাকায় নামলেও বাংলার বাজারে এখনও পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাস ধরেই ক্রমাগত বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। শীঘ্রই দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না, শিয়ালদা-বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়িরা।
পেঁয়াজের দাম এত বেশি কেন?
উপভোক্তা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বছর আবহাওয়ার কারণে খারিফ শস্যের মরসুমে পেঁয়াজ বপনে দেরি হওয়ার ফলে ফসলের ফলন প্রয়োজনের তুলনায় কম হয়েছে এবং যতটা ফলন হয়েছে তা বাজারে দেরিতে এসে পৌঁছেছে। গুদামে থাকা পেঁয়াজ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এবং খারিফ শস্যের মরসুমে পেঁয়াজের বাজারে আসতে দেরি হওয়ায়, সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। যার ফলে পাইকারি এবং খুচরো উভয় বাজারেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।