কোনও ঝুঁকি ছাড়া রিটার্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তরা সবথেকে বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন পোস্ট অফিসকে। যদিও শেয়ার বাজার খুব ভালো রিটার্ন দেয়, তবে যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা পোস্ট অফিসেই বিনিয়োগ করে থাকেন।
পোস্ট অফিসেও ব্যাঙ্কের মতো ফিক্সড ডিপোজিট, টার্ম ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিট করা যায়। পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ খুব নিরাপদ বলে বিশ্বাস করা হয়। কারণ এতে আপনার মূলধন এবং সুদ উভয়ই সরকার দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত।
ব্যাঙ্কে যে যে স্কিম থাকে পোস্ট অফিসেও প্রায় একই রকমের স্কিম থাকে। তবে মাঝে মাঝে নতুন স্কিমও আনা হয় গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। পোস্ট অফিসের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে রেকারিং ডিপোজিট (RD), টার্ম ডিপোজিট (TD), পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), কিষাণ বিকাশ পত্র এবং মাসিক আয় প্রকল্প (MIS)। এই সব প্রকল্পে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্টে একটি নির্দিষ্ট মাসিক সুদ পাবেন।
বর্তমানে, পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পে (MIS) ৭.৬ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ দিচ্ছে। মাত্র ১,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। একক অ্যাকাউন্টের জন্য সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা ৯ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ তিনজন ব্যক্তির যৌথ অ্যাকাউন্টের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা। একটি MIS অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য, আপনার পোস্ট অফিসে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই প্রকল্পটি পাঁচ বছরের জন্য। ৫ বছর পরে সম্পূর্ণ বিনিয়োগ আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে যদি আপনি এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে মাসে সুদ পাবেন ৬৩৩ টাকা। ৫ বছরে তা হবে প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। সঙ্গে আপনার জমা করা এক লাখ টাকাও ফেরত পাবেন। অর্থাৎ কোনও ঝুঁকি ছাড়া মাত্র ৫ বছরে ভালো রিটার্ন পাবেন আপনি।