দুবাইয়ের বিলাসবহুল বিচ সাইড ভিলার মালিকানা নাকি মুকেশ অম্বানির হাতে! ওই ভিলাম দাম ৮০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৩৯৬,৭৪৪,৮৮০ টাকা)। মুকেশ অম্বানিই শহরের সবচেয়ে বৃহত্তম আবাসিক সম্পত্তির ক্রেতা। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাম জুমেইরাহ বিচে এই সম্পত্তি চলতি বছরের শুরুতে মুকেশ অম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানির জন্য কেনা হয়েছে।
হাতের পাঞ্জা-আকারের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের উত্তর অংশে রয়েছে মুকেশের ভিলা। এখানে ১০টি বেডরুম, ব্যক্তিগত স্পা এবং ইনডোর-আউটডোর পুল রয়েছে। ধনকুবেরদের জন্য বিনিয়োগের গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। সে দেশের সরকার দীর্ঘমেয়াদে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ। ব্রিটিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম এবং বলিউড তারকা শাহরুখ খানের মতো প্রতিবেশী পাবেন অম্বানিরা।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী,অম্বানির তিন উত্তরাধিকারী। অনন্ত অম্বানির ৯৩.৩ বিলিয়ন ডলার বিলিয়ন সম্পদ তারই অংশ। বিশ্বের একাদশতম ধনী মুকেশ অম্বানি। ৬৫ বছরের শিল্পপতি ধীরে ধীরে সন্তানদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন ব্যবসা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদেশে সম্পত্তি কিনছে অম্বানি পরিবার। পশ্চিমী দেশগুলিতে থাকার ঝোঁক তিন ভাই-বোনের।
গত বছর বিট্রেনে স্টোক পার্ক লিমিটেড কিনতে ৭৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে রিলায়েন্স। এটি জর্জিয়ান যুগের প্রাসাদ। বড় ছেলে আকাশ অম্বানির জন্য প্রাসাদটি কিনেছিলেন মুকেশ। আকাশ সম্প্রতি রিলায়েন্স টেলিকম Jio Infocomm Ltd-এর চেয়ারম্যান হয়েছেন। আকাশের বোন ইশা অম্বানি নিউইয়র্কে বাড়ি খুঁজছেন।
দুবাইয়ের বিলাসবহুল ভিলা কেনার বিষয়টি এখনও গোপন রেখেছে অম্বানি পরিবার। ওই জায়গার নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অম্বানির দীর্ঘদিনের সহযোগী পরিমল নাথওয়ানির ভিলাটির দেখভালের দায়িত্বে। মুম্বইয়ে অ্যান্টিলিয়া নামে আকাশচুম্বী বাসভবন রয়েছে অম্বানির।
পাম জুমেইরাহ আইল্যান্ডে বিলাসবহুল হোটেল, ক্লাব, স্পা, রেস্তোরাঁ এবং অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ার রয়েছে। পাশে নীল জলরাশির সমুদ্র। ২০০১ সালে শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজ। ২০০৭ সাল থেকে বসবাস করতে থাকেন মানুষ। দুবাইয়ের অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ রিয়েল এস্টেটের উপর নির্ভরশীল। সে দেশে কমপক্ষে ২০ লাখ দিরহম সম্পত্তি কিনলে ১০ বছরের ভিসা মেলে।
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ছে ৪%? স্পষ্ট করল কেন্দ্র