আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।গাড়ি-বাড়ির ঋণে ইএমআইয়ের বোঝা কমবে কি? এই নিয়ে আশায় ছিলেন সকলে। রেপো রেটের হার কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মুদ্রানীতির বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
এদিন শক্তিকান্ত জানিয়েছেন, রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থাৎ, আগের বারের মতোই একই রাখা হল রেপো রেট। ফলে ইএমআইয়ের চাপ কমবে না। কোনও স্বস্তি মিলল না। রেপো রেট স্থির রইল ৬.৫ শতাংশেই।
আরবিআইয়ের গভর্নর জানান, বৈঠকে ৬ জনের মধ্যে ৪ জনই রেপো রেটের হার না বদল করার পক্ষে ছিলেন। শেষমেশ রেপো রেটের হার বদল করা হল না। আরবিআই গভর্নর বলেছেন যে, সুদের হার কমানোর কথা ভাবছে কয়েকটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আবার কয়েকটি দেশ সুদের হার বাড়ানোর কথা বলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সর্বদা নজর রাখছে।
অন্য দিকে, আরবিআইের অনুমান, ২০২৫ সালে অর্থবর্ষে জিডিপির বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। ২০২৫ অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি ৭.৩ শতাংশ থেকে কমে ৭.১ শতাংশ কমেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ৭.২ শতাংশ। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৭.৩ শতাংশ, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৭.২ শতাংশ। ২০২৬ সালে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আরবিআই গভর্নরের মতে, প্রথম চ্যালেঞ্জ হল খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করা।
অন্য দিকে, কিছুদিন আগেই বাজেট ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'এটি মধ্যবিত্তের জন্য উপকারী বাজেট।'আয়করের হার, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কমিয়ে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সীতারামন। মধ্যবিত্তের স্বস্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি ঋণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন সীতারামন। পাশাপাশি বলেছেন যে, মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ পড়াশোনা বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে সুরাহা করা হয়েছে। মধ্যবিত্তরা যাতে সাধ্যের মধ্যে বাড়ি কিনতে পারেন, সে কারণে ঋণে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী। সীতারামন বলেছেন, 'আমরা সব সময় কর কমানোর চেষ্টা করে আসছি। আমরা ভেবেছিলাম পুরনো কর ব্যবস্থায় কর কমানো ঠিক হয়নি। এই কারণেই আমরা একটি নতুন কর কাঠামো করেছি।'