scorecardresearch
 

SEBI On Exit Poll Day Trading: এক্সিট পোলের অঙ্কে শেয়ারে লাভ? তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ খারিজ সেবির: সূত্র

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে সেবি-কে চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে অভিযোগ করেছিলেন,'বিজেপির আসন ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়'।

Advertisement
সেবি সেবি

সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষাই দেখিয়েছিল ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চলেছে মোদী সরকার। তার পরেরদিনই শেয়ার বাজার লাফিয়ে বেড়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপিকে অতিরিক্ত আসন দিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীকে। অভিযোগ গিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার কাছেও (Sebi)। তবে এমন অভিযোগের সপক্ষে তারা কোনও প্রমাণ পায়নি বলে সূত্রের খবর।         

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে সেবি-কে চিঠি দিয়েছিলেন। তাতে অভিযোগ করেছিলেন,'বিজেপির আসন ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। ৩ জুন বিরাট লাভ করেছিল বহু সংস্থা। ৪ জুন আগে থেকে শেয়ার বেচেও তারা কামিয়েছিল। এই ধরনের সংস্থাগুলির সঙ্গে বিজেপি প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। সেবি গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক'।     

সূত্রের খবর,বাজারের সঙ্গে জড়িত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিল সেবি। সেই তথ্য খতিয়েও দেখেছে তারা।  বুথ ফেরত সমীক্ষার পর বাজারে কোনও ধরনের কারচুপি বা অভ্যন্তরীণ লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। 

বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী

শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেছিলেন,'এই প্রথম আমরা দেখলাম. নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মিলে স্টক মার্কেট নিয়ে মন্তব্য করলেন। প্রধানমন্ত্রী চারবার দেশকে বললেন, শেয়ার বাজারের তেজি উত্থান হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ৪ জুন থেকে স্টক মার্কেট উপরে যাবে। লগ্নিকারীদের এখনই কিনে রাখা উচিত। ১ জুন মিথ্যে এগজিট পোল রেজাল্ট প্রকাশ করা হল। বিজেপির অফিসিয়াল সার্ভে ছিল, ২২০ টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। এই তথ্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও ছিল। ৩ জুন শেয়ার বাজারের এত উত্থান হল যে সব রেকর্ড ভেঙে গেল। এরপর ৪ জুন রেজাল্ট বেরতেই শেয়ার বাজারে বড় ধস নামল। লগ্নিকারীদের একদিনে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হল। ক্রনোলজিটা বুঝুন। এই যা কিছু ঘটল, তা শেয়ার বাজারের সবচেয়ে বড় স্ক্যাম। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা জেপিসি চাইছি।'

Advertisement

জবাব দিয়েছিলেন পীযূষ গোয়েল

তার জবাব দেয় সরকারপক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে 'বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ করেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন,'মোদী সরকারের গত ১০ বছরে, এই প্রথমবারের মতো আমাদের মার্কেট ক্যাপ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ ভারতের ইকুইটি মার্কেট ক্যাপ বিশ্বের শীর্ষ ৫টি অর্থনীতির মধ্যেু স্থান পেয়েছে... আমরা এটাও জানি যে বাজারে তালিকাভুক্ত PSU-গুলির মার্কেট ক্যাপ মোদী সরকারের আমলে ৪ গুণ বেড়েছে'। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন,'UPA সরকারের সময়কার ৬৭ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে আজ ভারতের মার্কেট ক্যাপ ৪১৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এর ফলে ডোমেস্টিক এবং খুচরা বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন।'

Advertisement