শেয়ারবাজারের শনির দশা যেন কাটতেই চাইছে না। তাই তো আজ নতুন করে ৭৩৩.২২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। এখন সেনসেক্সের সূচক রয়েছে ৮০,৪২৬.৪৬-তে। ও দিকে ২৩৬.১৫ পয়েন্ট নেমে ২৪,৬৫৪.৭০-তে গিয়ে থেমেছে নিফটি। আর এই নিয়ে পরপর ৫ দিন ভারতের শেয়ার মার্কেটের সূচক নেমেছে।
মার্কেটের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, এই সময় সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে আইটি এবং ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থার শেয়ারগুলি। আর এমনটা হওয়ার পিছনে রয়েছে আমেরিকা যোগ।
ট্যাফিক যুদ্ধে বিদ্ধ ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর
আসলে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প আবার নতুন করে শুল্ক বোমা ফাটিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্র্যান্ডেড ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের উপর প্রায় ১০০ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়েছেন। আর তাতেই থরহরি কম্প লেগে গিয়েছে দেশের শেয়ার বাজারে। কারণ, ভারতীয় ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বিপুল ব্যবসা রয়েছে আমেরিকায়। তাই ট্রাম্পের শুল্ক বোঝা তাদের সইতে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর এই প্যানিক থেকেই সান ফার্মার শেয়ার ৩ শতাংশ এবং ডক্টর রেড্ডির শেয়ার ২ শতাংশ নেমেছে।
এইচ১বি ভিসা নিয়ে যত সমস্যা
অপরদিকে এইচ১ভিসা নিয়মে বদল এনেছে আমেরিকা। এখন থেকে এই ভিসা পেতে চাইলে একটা বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হবে সংস্থাগুলিকে। আর এই খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই আইটি স্টকগুলিতে পতন অব্যাহত। টিসিএস থেকে শুরু করে ইনফোসিসের মতো বড় বড় ভারতীয় আইটি কম্পানির শেয়ারের দাম দ্রুত পড়ছে। তথ্য বলছে, এই ক'দিনে আইটি স্টকের শেয়ারের দর ১.৩ শতাংশ নেমেছে।
বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাচ্ছে
এই বছরের প্রথম থেকেই বিদেশি পুঁজি ভারত ছাড়ছিল। আর সেই ধারায় কোনও লাগাম পড়ার লক্ষণ নেই। বরং সুযোগ পেলেই তারা ভারতীয় বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।
এই যেমন ২৫ সেপ্টেম্বর, ৪৯৯৫ কোটি ভারতীয় টাকা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বের করে নিয়েছে বাজার থেকে। শুধু তাই নয়, চলতি মাসের তাঁরা ২৪ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা মার্কেট থেকে তুলে নিয়েছে। আর এটাও সেনসেক্ট, নিফটির বিপক্ষে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই এই মুহূর্তে একটু সাবধানে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, অপশন ট্রেডিংয়ের থেকে এই সময় একবারেই দূরে থাকাই ভালো। তার বদলে সোনায় বিনিয়োগ কিছু ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখাতে পারে বলে মনে করছেন মার্কেট এক্সপার্টরা।