দিনের শুরুতে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। নিফটি নেমে গিয়েছে ২৫২০০ পয়েন্টের নীচে। আর শেয়ার বাজারের এমন থরহরি কম্প অবস্থার পিছনেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন এভাবে নীচে গেল বাজার?
এদিন শেয়ার মার্কেট খোলার পরই 'বিয়ার রান' শুরু হয়ে যায়। আর এমনটা হওয়ার পিছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নীতি রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
আসলে চিনের পণ্যের উপর বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প। এই শুল্ক ১ নভেম্বর থেকে লাগু হবে। আর সেই খবর সামনে আসার পর থেকেই ভেঙে পড়েছে শেয়ার বাজার। আর শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর মার্কেটেরই এমন দশা। ইনভেস্টররা দ্রুত নিজেদের স্টক বেঁচার কাজে লেগে পড়েছেন। যার ফলে ভেঙে পড়ছে শেয়ার বাজার।
এ দিন সব এশিয়ার মার্কেটের অবস্থাই খারাপ। সর্বত্রই চলছে শেল অফ। বিনিয়োগকারীরা নিজেদের মুনাফা ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
পৃথিবীর ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ সরবরাহ করে চিন। এগুলি চিপ, সেমিকন্ডাক্টর, ইভি তৈরিতে কাজে লাগে। আর সেই খনিজ সরবরাহেই এখন থেকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে চিন। তাঁরা জানিয়েছে, এই খনিজ কিনতে হলে কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে, সেটা জানাতে হবে। তার পরই রপ্তানি করা হবে। তার আগে নয়।
আর এই নিষেধাজ্ঞার কথা জেনেই চটে গিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি চিনের উপর বসিয়েছেন ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক। শুধু তাই নয়, চিনের প্রধান শি জিনিপিং-এর সঙ্গে আসন্ন বৈঠক ভেস্তে দিয়েছেন। আর সেই সিদ্ধান্তেই নড়ে গিয়েছে সারা পৃথিবীর শেয়ার মার্কেট।
কারা উঠছে, কারা নামছে?
এই খারাপ খবরের মাঝেও কিছু স্টকের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর সেই তালিকায় রয়েছে Indigo, Max Health, Bajaj Auto, Bharti Airtel and Asian Paints ইত্যাদি। অপরদিকে ONGC, Tata Motors and Adani Enterprises-এর মতো স্টকের অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলি অনেকটাই নীচে পড়ে গিয়েছে।
পরিস্থিতি শুধরে যাবে কবে?
তবে এখন সবে সকাল। নতুন কোনও খবরে যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি। তাই এখনই প্যানিক করতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার বদলে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। তবে এরপরও যদি স্টক মার্কেট নীচের দিকে যেতেই থাকে, তখন মুনাফা ঘরে তুলে নেওয়ারই পক্ষপাতি বিশেষজ্ঞরা।
তবে এই নিবন্ধ পড়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। তার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি যা বলবেন, সেই মতো চলুন।