scorecardresearch
 

Dearness Allowance : 'দীপাবলির উপহার ডিএ দিল কেন্দ্র, রাজ্য ডুবে অন্ধকারে', দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে লাগাতার বনধের প্রস্তুতি সরকারি কর্মীদের

কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে। সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ৬ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক এখন ৪০ শতাংশ। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা।

Advertisement
 ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ (Dearness Allownce) ডিএ ঘোষণা করেছে
  • সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ৬ শতাংশ

কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ (Dearness Allownce) ডিএ ঘোষণা করেছে। সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ৬ শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক এখন ৪০ শতাংশ। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, দীপাবলির আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপহার দিল মোদী সরকার। অথচ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও অন্ধকারে ডুবে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে তাঁরা বিপাকে। পশ্চিমবঙ্গের থেকেও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলি তাদের সরকারি কর্মীদের AICPI অনুযায়ী ডিএ দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে না। যা লজ্জার ও যন্ত্রণার। ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা দুর্গাপুজোর পরই বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে পারেন। বুধবার কেন্দ্রের ডিএ ঘোষণার পর তার ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। 

বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারা এর আগে কর্মবিরতি ডেকেছেন। নবান্নে বৈঠকও করেছেন। তবে তারপরও সরকার কর্ণপাত করেনি। এই প্রেক্ষিতে এবার তাদের লক্ষ্য, বনধ ডাকা। এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলন চলবেও। তবে পুজোর পর লাগাতার বনধের পথে হাঁটার প্রস্তুতু শুরু হয়েছে।' 

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষও করেন তিনি। বলেন, 'আসলে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটা টাকার সিন্দুক আছে। সেটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। খুঁজে পাচ্ছেন না। যেদিন সন্ধান পাবেন সেদিন হয়তো সরকারি কর্মী-শিক্ষকদের ডিএ মেটাবেন।' তারপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, 'এই সরকারের মাথায় রাখা দরকার, কর্মচারীরাই সরকার চালাচ্ছে। অথচ তাঁরাই সবথেকে বেশি বঞ্চিত। সুতরাং সরকারি কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বনধ ডাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়বেন।' 

আরও পড়ুন

আবার ডিএ নিয়ে মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারি পরিষদও রাজ্য সরকারের ডি- না দেওয়ার মনোভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।  সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'কেন্দ্রের এই ডিএ ঘোষণার ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা AICPI অনুযায়ী ৪০ শতাংশ কম ডিএ পাচ্ছেন। এটা রাজ্যের কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা। মোদী সরকার এই ডিএ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাড়ি-জীবন আলোকিত করলেন। কিন্তু আমাদের রাজ্য সেই অন্ধকারেই ডুবে থাকল। পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক ছোটো রাজ্যও ডিএ দিচ্ছে AICPI মেনে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। তিনি আবার I.N.D.I.A জোটের অন্যতম মুখ। তাঁর সঙ্গে এই জোটে যাঁরা আছেন, তাঁদের নেতারাও নিজের নিজের রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দিয়েছেন। আমরা এখন দেখব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে সেই সব নেতাদের কাছে কীভাবে মুখ দেখান। তিনি নিজে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন। এই জোটও নাকি গণতান্ত্রিক, বলেই দাবি করে এসেছেন। অথচ ডিএ না দিয়ে নিজের প্রমাণ করে দিলেন, তাঁর মতো অগণতান্ত্রিক মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে আর দ্বিতীয় কেউ নেই।'

Advertisement

তিনি আরও জানান, সরকারি কর্মচারী পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। মাঠে ময়দানের পাশাপাশি তাঁরা কোর্টেও লড়াই করছেন। আইনি লড়াই সেই পথেই চলবে। তবে পুজোর পরে সমস্ত সরকারি সংগঠনের এক ছাতায় তলায় এসে লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটা উচিত। 

সুপ্রিম কোর্টে আর এক মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের এখন ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ এই পরিমাণ টাকা বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এটা লজ্জার। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না। আর সরকার মন্ত্রীদের বেতন বাড়াচ্ছেন। তবে আমরা আগেও বলেছি বকেয়া ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে আশাবাদী। আমরা কোনও আন্দোলনে বিশ্বাসী নই। এই ইস্যুতে আন্দোলন করিওনি। আমাদের বিশ্বাস সরকারি কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে জিতবেন। তখন রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েই ডিএ দেবেন।' 

Advertisement