TATA Group Trouble: TATA গোষ্ঠীতে জোর 'অন্তর্দ্বন্দ্ব'! তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্র, কী ঘটল? পুরো কাহিনি

এহেন পরিস্থিতিতে মোদী সরকার সতর্ক করেছে, টাটা ট্রাস্টের মধ্যে চলা অশান্তির প্রভাব যেন টাটা সন্স বা গোটা গোষ্ঠীর না পড়ে। বস্তুত, সরকারের একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে টাটা গোষ্ঠী। এমনকী খোদ এয়ার ইন্ডিয়াও টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল।

Advertisement
TATA গোষ্ঠীতে জোর 'অন্তর্দ্বন্দ্ব'! তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্র, কী ঘটল? পুরো কাহিনিটাটা গোষ্ঠীতে অভ্যন্তরীণ কলহ
হাইলাইটস
  • ১ ঘণ্টার বেশি মিটিং হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে
  • টাটা গোষ্ঠীর প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল
  • ৯ অক্টোবর রতন টাটার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

ভারতের ঐতিহ্যবাহী TATA Group এ অশান্তির কালো মেঘ। জামশেদজি টাটার তৈরি ভারতের স্বপ্নের টাটা গোষ্ঠীর অন্দরে কোন্দল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হল। রতন টাটার মৃত্যুর পর থেকেই টাটা গোষ্ঠীর অন্দরে যে কলহের আগুন ধিকধিক করে জ্বলছিল, এখন তা বড় আকার নিয়েছে। যাকে বলে, লিডারশিপের মধ্যেই বিদ্রোহ! এহেন পরিস্থিতিতে মোদী সরকার সতর্ক করেছে, টাটা ট্রাস্টের মধ্যে চলা অশান্তির প্রভাব যেন টাটা সন্স বা গোটা গোষ্ঠীর না পড়ে। বস্তুত, সরকারের একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে টাটা গোষ্ঠী। এমনকী খোদ এয়ার ইন্ডিয়াও টাটা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল।

১ ঘণ্টার বেশি মিটিং হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে

ইকোনমিক টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে ১ ঘণ্টার বেশি মিটিং হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে। উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নোয়েল টাটা, ভাইস চেয়ারম্যান ভেনু শ্রীনিবাসন, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এবং ট্রাস্টি দারিয়াস খানবাটা। টাটা ট্রাস্টের অভ্যন্তরে অশান্তি থামানোই এই মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। Tata Sons কে নিয়ন্ত্রণ করে টাটা ট্রাস্ট। বৃহত্তম শেয়ার হোল্ডার। টাটা লিডারশিপকে সরকারের তরফে কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, সংস্থার ভিতরে পরিস্থিতি ও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে যে কোনও মূল্যে। প্রয়োজনে এমন ট্রাস্টিদেরও পদ থেকে সরাতে হবে, যাঁদের জন্য গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।

টাটা গোষ্ঠীর প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল

টাটা গোষ্ঠীর প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল। তাই কিছু অশান্তির ফলে যদি কোনও ভাবে ড্যামেজ হয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতি নড়ে যেতে পারে। সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নির্দেশ অনুযায়ী, টাটা সন্সকে ‘আপার লেয়ার NBFC’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে, সাপুরজি পাল্লনজি গোষ্ঠী, যারা টাটা সন্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার, তাদের আর্থিক সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হয়।

Advertisement

৯ অক্টোবর রতন টাটার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

দিল্লিতে অমিত শাহ ও নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে মিটিং সেরে মুম্বইয়ে ফেরার আগে টাটা গোষ্ঠীর ৪ জন প্রতিনিধি নিজেরা একটি বৈঠক করেন। বস্তুত, ৯ অক্টোবর রতন টাটার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছিলেন রতন টাটা। দেখা যাচ্ছে, একবছরের মধ্যেই টাটা ট্রাস্টের অভ্যন্তরে অশান্তি। কেন্দ্রের তরফে টাটাদের বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ অশান্তি দ্রুত মেটান। প্রয়োজন হলে, যাঁরা অশান্তি পাকাচ্ছেন, তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দিন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন।

টাটা গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তিতে শেয়ারবাজার কী বলছে?

টাটা গোষ্ঠীর অন্দরে এই বিবাদের এখনও পর্যন্ত শেয়ারবাজারে প্রভাব পড়েনি। বরং টাটা গোষ্ঠীর শেয়ারগুলির দাম বেড়েছে। কারণ, এই অশান্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করায় লগ্নিকারীদের মনে আস্থা বেড়েছে। যেমন Titan কোম্পানির শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে মঙ্গলবার। এমনকী আন্তর্জাতিক ব্যবসাতেও ৮৬ শতাংশ রেভিনিউ বেড়েছে ২০২৬ আর্থিক বছরে। টিসিএস এর শেয়ার প্রায় ২% বেড়ে ৩০২৫ টাকা ওঠে।

POST A COMMENT
Advertisement