Trump Tariffs Stock Market: ভারতের শেয়ারবাজারেও হাহাকার, কেন? মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের

বৃহস্পতিবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে বড়সড় ধস নামে। NASDAQ প্রায় ৬ শতাংশ পড়ে যায়। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (Dow Jones) প্রায় ১৬০০ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে যায়। পাশাপাশি S&P 500-তেও ৫ শতাংশ পতন হয়েছে।

Advertisement
ভারতের শেয়ারবাজারেও হাহাকার, কেন? মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের

বৃহস্পতিবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে বড়সড় ধস নামে। NASDAQ প্রায় ৬ শতাংশ পড়ে যায়। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (Dow Jones) প্রায় ১৬০০ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে যায়। পাশাপাশি S&P 500-তেও ৫ শতাংশ পতন হয়েছে।

সেই ধাক্কা সরাসরি এসে লাগল ভারতের শেয়ার বাজারে। শুক্রবার সকাল থেকেই ধীরে ধীরে পতন চোখে পড়ছে। সেনসেক্স ইতিমধ্যেই ৬০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গিয়েছে। নিফটিতেও ২১৫ পয়েন্টের বেশি পতন হয়েছে। এখন নিফটি ২৩,০৩৮ লেভেলে ট্রেড করছে। সেনসেক্স ৭৫,৭৬৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

তবে নিফটি ব্যাঙ্কে তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার সূচকে ৯০ পয়েন্ট পড়েছে। BSE-র শীর্ষ ৩০টি স্টকের মধ্যে ২৬টিতেই বড় পতন দেখা যাচ্ছে। শুধু HDFC Bank, Bharti Airtel-সহ দুটি শেয়ারে উল্টে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে টাটা মোটরসের শেয়ারে। প্রায় ৪ শতাংশ পড়েছে ওই কোম্পানির শেয়ার। তার পরেই রয়েছে টাটা স্টিল এবং এল অ্যান্ড টি। এই দুই কোম্পানির শেয়ারেও প্রায় ২.৫ শতাংশ পতন ঘটেছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই শেয়ারগুলি

আমেরিকার বাজারে হাহাকার। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের বাজারেও ধস দেখা যাচ্ছে। আজ Angel One-এর শেয়ার প্রায় ৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। ট্রাম্প ট্যারিফের কারণে টাটা মোটরসের শেয়ারও ৪ শতাংশ পড়েছে।

হিন্দুস্তান কপারস-এর শেয়ার পড়েছে ৩ শতাংশ। Mazagon Dock-এর শেয়ারে ৬ শতাংশের বড় ধস দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও ভেদান্তার শেয়ারে ৫.২৮ শতাংশ পতন হয়েছে।

শেয়ার বাজার বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের পতন মূলত বৈশ্বিক মন্দার ইঙ্গিত দেয়। আমেরিকায় যেভাবে সূচকগুলো পড়ে গিয়েছে, তার ছায়া এশিয়ার বাজারে পড়বে, এমনটা আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ভারতীয় লগ্নিকারীদের জন্য তাই এখনই সতর্ক হয়ে পোর্টফোলিও ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

POST A COMMENT
Advertisement