Dearness Allowance : ডিএ মামলার শুনানি শেষ সুপ্রিম কোর্টে, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মীরা?

অবশেষে রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি শেষ হল সুপ্রিম কোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতিরা ইতিমধ্যেই রাজ্যকে জানিয়েছেন, তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য কোর্টে জমা দিতে হবে।

Advertisement
ডিএ মামলার শুনানি শেষ সুপ্রিম কোর্টে, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মীরা? west bengal da case
হাইলাইটস
  • অবশেষে রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি শেষ হল সুপ্রিম কোর্টে
  • তবে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

অবশেষে রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি শেষ হল সুপ্রিম কোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা ইতিমধ্যেই রাজ্যকে জানিয়েছেন, তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য কোর্টে জমা দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীরা ১ সপ্তাহ সময় পাবেন একই কাজের জন্য। তাহলে কি পুজোর আগেই ডিএ পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা? এই প্রশ্নই করছেন সরকারি কর্মচারীরা। 

এই মামলার অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানি শেষে বলেন, 'রাজ্য সরকারি কর্মীরা দির্ঘদিন ধরে মামলার নিষ্পত্তির অপেক্ষা করছিলেন। সেদিক থেকে আজকের দিনটা ইতিবাচক। রাজ্য সরকারের তরফে কপিল সিব্বল আজও সময় নিয়েছিলেন। তবে তিনি নতুন কিছু বলতে পারেননি বা বলার কিছু ছিলও না তাঁর। এখন অপেক্ষা করতে হবে রায়দানের। সেটা বিচারপতিদের হাতেই রয়েছে।' 

বিকাশরঞ্জনের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এদিনের শুনানিতেও মামলা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেজন্য তাদের আইনজীবী অন্য রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার উদাহরণ দিচ্ছিলেন। তবে বিচারপতিরা তা গ্রাহ্য করেননি। 

তবে ওই আইনজীবীর মতে, পুজোর আগে বা দীপাবলির আগে ডিএ পাওয়া যাবে না। কারণ, আরও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে সব পক্ষের বক্তব্য জানাতে। তাঁর কথায়, 'তারপর বিচারপতিরা বসবেন। কোর্টের ছুটিও হবে। আমার তো মনে হয় এই বছর রায়দান হয়ে যাবে।' 

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আমাদের আইনি লড়াই শেষ হল। গোটা শুনানি শেষ হওয়ার পর বলতে পারি, এই মামলায় আমরা জিতব। রাজ্য সরকার বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিল মামলা পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আমাদের ডিএর অধিকার রয়েছে সার্ভিস রুলে। সেটা বেতনের অংশ। সেটা বিচারপতিদের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। এবং তা AICPI মেনেই দিতে হবে। আমরা আশা করি মামলায় রায় আমাদের পক্ষে যাবে।' 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। জানিয়ে দেয়, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে তা দিতে হবে। সেই সময় ২৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারকে। তারপর সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আদালতের কাছ থেকে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি চলতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে। 

Advertisement

রাজ্য আগে জানিয়েছিল, লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অন্য দিকে, রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটেও এমন কোনও বরাদ্দ নেই। তাই এখনই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানো সম্ভব নয়।  

তবে সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল ডিএ আইনি অধিকার। সেটা রাজ্য সরকার মানছে না। অনেক টাকা বছরের পর বছর বকেয়া রাখা হচ্ছে। এই ইস্যুতেই সওয়াল জবাব চলতে থাকে। তারপর আজ সোমবার মামলার নিষ্পত্তি হয়। 
 

POST A COMMENT
Advertisement