West Bengal DA : '১০ রাজ্য AICPI মেনে DA দেয় না', সুপ্রিম কোর্টে জানাল মমতা সরকার; এবার কী হবে সরকারি কর্মচারীদের?

এদিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে হাজির ছিলেন সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হলফনামায় দাবি করা যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিতে যান।

Advertisement
'১০ রাজ্য AICPI মেনে DA দেয় না', সুপ্রিম কোর্টে জানাল মমতা সরকার; এবার কী হবে সরকারি কর্মচারীদের? Dearness Allowance
হাইলাইটস
  • সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা রাজ্য সরকারের
  • সব রাজ্য AICPI মেনে ডিএ দেয় না, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

রাজ্যের ডিএ মামলায় (West Bengal Dearness Allowance Case) নয়া মোড় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আজ সোমবার হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকার। সেই লিখিত বক্তব্য়ে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, দেশের এমন ১০ রাজ্য আছে যারা AICPI (All India Consumer Price Index) মেনে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেয় না। 

এদিন এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে হাজির ছিলেন সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হলফনামায় দাবি করা যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিতে যান। কিন্তু বিচারপতিরা জানান, যেহেতু রাজ্যের সরকারি কর্মীদেরও হলফনামা জমা দেওয়ার সময় এখনও আছে, তাই তাঁরা সওয়াল করতে পারবেন। কয়েকদিন পরেই সুপ্রিম কোর্টে দীপাবলির ছুটি পড়ে যাবে। সুতরাং ছুটি শেষ হওয়ার পরই আদালত এই মামলার রায় দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সরকারি কর্মীদের তরফে থাকা অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, তিনি আশা করছেন চলতি বছরেই চূড়ান্ত রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট। 

গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে কোর্ট। সরকার ও সরকারি কর্মীদেরও কোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় চলছে এখন। 

২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। জানিয়ে দেয়, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে তা দিতে হবে। সেই সময় ২৫ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারকে। তারপর সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আদালতের কাছ থেকে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি চলতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে। 

রাজ্যের তরফে বারবার সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, রাজ্যের আলাদাভাবে নিজের সাধ্যমতো ডিএ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ডিএ কখনও অধিকার নয়। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেন, ডিএ আইনি অধিকার। বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তাদের কর্মীদের AICPI মেনে ডিএ দেয়। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও দিতে হবে। দীর্ঘদিন এই মামলার শুনানি চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। শেষও হয়েছে। এবার কোর্ট কী রায় দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকার ও কর্মীরা।    

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement