scorecardresearch
 

Mid Day Meal : চন্দ্রকোণায় মিড ডে মিলে আরশোলা, কেন্দ্রীয় দলের সফরের মাঝেই বিপত্তি

চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার তাঁর ছেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের খিচুড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখা যায় তার মধ্যে পড়ে রয়েছে আস্ত একটি আরশোলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খিচুড়ির কৌটো নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান। এরপর কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেতে নিষেধ করে দেন। 

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ফের মিড ডে মিলে বিপত্তি
  • এবার উদ্ধার আরশোলা
  • ঘটনাস্থলে জয়েন্ট বিডিও

আবারও শিরোনামে মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। মিড ডে মিল সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যখন রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঠিক তখনই অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিলল আরশোলা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন জয়েন্ট বিডিও। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসন ও শিক্ষামহলে। 

এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার তাঁর ছেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের খিচুড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখা যায় তার মধ্যে পড়ে রয়েছে আস্ত একটি আরশোলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খিচুড়ির কৌটো নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান। এরপর কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেতে নিষেধ করে দেন। 

এদিকে ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিলে আরশোলা পড়েছে, এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। এই প্রসঙ্গে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী বলেন, এক অভিভাবক গিয়ে ঘটনার কথা জানাতেই তাঁরা ভুল শিকার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে তড়িঘড়ি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্যও বলে এসেছেন। অন্যদিকে বিষয়টি কানে যেতেই দ্রুত ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পৌঁছান চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন এলাকাবাসী ও কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গেও। 

আগে বীরভূমে মিলেছিল সাপ
প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে পাওয়া গিয়েছিল সাপ। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৬ জন পড়ুয়া। বমি করতে শুরু করে তারা। যার জেরে তড়িঘড়ি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। সেই ঘটনায় স্কুলে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।