শ্রীধর ভেম্বুভাল চাকরি করার জন্য বড় ডিগ্রি থাকা মাস্ট। অন্তত এতদিন এমনটাই ছিল। তবে বর্তমান এআই-এর যুগে পড়াশোনা করার প্রথাগত স্টাইলটাই বদলে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ডিগ্রি হয়ে পড়ছে অপ্রাসঙ্গিক। তার বদলে দক্ষতা বা স্কিলটাই হয়ে উঠছে প্রধান বিবেচ্য। আর নতুন এই ট্রেন্ডটাকে মেনে নিয়েছেন দেশি সংস্থা Zoho-এর প্রধান শ্রীধর ভেম্বু। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর সংস্থায় চাকরি পেতে গেলে কোনও কলেজ ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। তাই তিনি বাবা-মায়েদের সন্তানের উপর চাপ দিতে বারণ করেছেন।
কেন কলেজ ডিগ্রির প্রয়োজন নেই?
এই নতুন ধারাটা শুরু করেছিল আমেরিকার সংস্থা পালান্তির। তারা হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েটদের সরাসরি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান দেয়। যার ফলে কলেজে পড়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আর এই পোস্টে ৫০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী আবেদন করে। যাদের মধ্যে থেকে ২২ জনকে বেছে নেওয়া হয়। আর এই বেছে নেওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই পুরো স্কলারশিপ পেয়ে বড় বড় সব কলেজে ভর্তির সুযোগও পেয়েছিল। তবে তারা কলেজে না ভর্তি হয়ে চাকরি করার পথই বেছে নেন।
আর এই বিষয়টাকেই সামনে তুলে এনেছেন ভেম্বু। তিনি মনে করেন, কলেজ ডিগ্রির কোনও প্রয়োজন নেই। এমনিই চাকরি পাওয়া যাবে। তাঁর কথায়, 'আমেরিকার স্মার্ট পড়ুয়ারা কলেজে যাচ্ছে না। এমনিই চাকরি পাবে বলে আশা করছে।'
এডুকেশন লোন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন
এখনও অনেক পরিবার এডুকেশন লোন নিয়ে সন্তানদের পড়ায়। আর সেই বিষয়টা নিয়েও নিজের মতামত দেন তিনি। ভেম্বু বলেন, 'এভাবে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করছে না।'
নিজের বক্তব্যে তিনি ভারতীয় সংস্থা এবং অভিভাবকেদর এই নতুন ট্রেন্ডের দিকে তাকাতে বলেন। সেই মতো নিতে বলেন ব্যবস্থা। তাঁর কথায়, 'আমি ভারতীয় অভিভাবক, হাই স্কুলের পড়ুয়া এবং ভারতের প্রথম সারির সংস্থাদের এই বিষয়টির দিকে তাকাতে বলব। '
জোহো-তে ডিগ্রি লাগবে না
ভেম্বু নিজের সংস্থা জোহো-এর পলিসি নিয়েও জানান। তিনি বলেন, 'জোহোতে কোনও কলেজ ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, কোনও ম্যানেজার যদি চাকরির পোস্টে কোনও ডিগ্রির উল্লেখ করে, তখনই তারা HR-এর কাছ থেকে ম্যাসেজ পান। তাদের বলা হয় ডিগ্রির কথা তুলে নিতে।'
তিনি জানান, যেই টিমের সঙ্গে তিনি কাজ করেন, তাদের গড় বয়স হল ১৯। তাঁর কথায়, 'এনার্জি হল সংক্রামক। আমাকে খুব কাজ করতে হয়, তাদের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য।'