দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান চেহারা কেমন, সংসদে প্রকাশিত কয়েকটি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তার একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, দেশের সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। তবে IIT, AIIMS-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৯-২৪ সালের ইউডিআইএসই তথ্য অনুযায়ী, সরকারি স্কুলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। ২০১৯-২০ সালে সরকারি স্কুলে ১৩.০৯ কোটি শিশু ছিল। ২০২৩-২৪ সালে তা কমে ১২.৭৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, ১.৩৫ কোটি পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে।
কোন রাজ্যে পড়ুয়ার সংখ্যা সবচেয়ে কমেছে, রইল তালিকা...
বিহার: ২.১ কোটি - ১.৭৪ কোটি
উত্তরপ্রদেশ: ১.৯০ কোটি - ১.৫৮ কোটি
রাজস্থান: ৯৯ লক্ষ - ৮৩ লক্ষ
এই ৩ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বেসরকারি স্কুলের বাড়বাড়ন্ত, জনসংখ্যার পরিবর্তন, ডিজিটাল শিক্ষার প্রতি ঝোঁক।
অন্য দিকে, ২০১৪ সাল থেকে দেশে অনেক বড় প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। আইআইটি: ৭টি নতুন (এখন মোট ২৩টি), আইআইএম: ৮টি নতুন (এখন মোট ২১টি), এইমস: ১২টি নতুন (এখন মোট ১৯টি), আইআইআইটি: ১৬টি নতুন (এখন মোট ২৫টি)।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ৮টি নতুন (মোট ৪৮টি এখন), কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা: ২০১৮-১৯ সালে ছিল ৫১ হাজার ৬৪৯টি প্রতিষ্ঠান, ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার ৩৮০টি প্রতিষ্ঠান।
ড্রপআউটের হারও বেড়েছে। UDISE-এর ২০২৪-২৪ তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ড্রপ আফটের হার কমেছে ১.৯ শতাংশ। উচ্চ প্রাথমিকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই হার ৫.২ শতাংশ ও মাধ্যমিকে (নবম থেকে দশম) হার ১৪.১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ড্রপ আউট হওয়া রাজ্যের মধ্যে প্রথমে রয়েছে বিহার, সেখানে হার ২৫.৬ শতাংশ, অসমে ২৫.১ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে হার ১৭.৭ শতাংশ ও ঝাড়খণ্ডে ১৫.২ শতাংশ।