Abhishek Banerjee: 'CAA জুমলা, ফাঁদে পা দেবেন না,' কাটোয়ায় নেতাজিনগর-প্রসঙ্গ তুলে দাবি অভিষেকের

সিএএ নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আজ জনসভা করেন তিনি। সেখানেই সিএএ-কে কেন্দ্রীয় সরকারের জুমলা বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

Advertisement
'CAA জুমলা, ফাঁদে পা দেবেন না,' কাটোয়ায় নেতাজিনগর-প্রসঙ্গ তুলে দাবি অভিষেকের'CAA জুমলা, ফাঁদে পা দেবেন না,' কাটোয়ায় নেতাজিনগর-প্রসঙ্গ তুলে দাবি অভিষেকের
হাইলাইটস
  • সিএএ নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  • পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আজ জনসভা করেন তিনি

সিএএ নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আজ জনসভা করেন তিনি। সেখানেই সিএএ-কে কেন্দ্রীয় সরকারের জুমলা বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, 'আমাদের সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে। বহিরাগতদের বিদায় দিতে হবে। এরা নির্বাচনের আগে বলছে আমরা সিএএ করব। আপনি সিএএ আইন পাস করেছেন ২০১৯ সালে। আর নিয়ম তৈরি করতে লেগে গেল ৫ বছর। সিএএ যে নোটিফিকেশন হয়েছে সেটা আরেকটা জুমলা। আমি কেন বলছি এটা জুমলা। যে নোটিফিকেশন হয়েছে তার ৪০ পাতার মধ্যে ৩৮ পাতা হল ফর্ম। মানে আপনি ফর্ম ফিলআপ করুন, তারপর কবে নাগরিকত্ব পাবেন, কার কাছে যাবেন, কোথায় আবেদন নিবেদন করবেন কিছুই লেখা নেই।

অভিষেকের কথায়, 'আমরা যদি ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি করে বলতাম, আগে ফর্ম ভরুন, তারপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব, আপনারা কি তৃণমূলকে ভোট দিতেন? কেউ ভোট দিত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে ১ মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাস্তবায়িত করেছেন। আর এরা এখন ফর্ম বিলি করছেন।'

গতকাল নেতাজি নগরে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। তৃণমূল ও পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় প্যানিক অ্যাটক হত যুবকের। তারপর আত্মহত্যা করেন তিনি। দলের এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে পোস্টও করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, নেতাজিনগরের ওই বাসিন্দার নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত।

আজ এনিয়ে অভিষেক বলেন, 'সিএএ-র কারণে অসমে ১২ লক্ষ মানুষ এনআরসি-র কবলে পড়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম কী? হিমন্ত বিশ্বশর্মা। উনি কোন দলের? বিজেপি করেন। গতকাল কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ বছরের এক তরতাজা তরুণ কাগজ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে আতঙ্কে ও ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এনআরসি ও সিএএ-র ভয়ে। আপনাকে জানাতে হবে আপনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট নাকি পাকিস্তানের পাসপোর্ট না আফগানিস্তানের পাসপোর্ট। আমি যদি মিথ্যা কথা বলি তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। আমি তো এখানে টিভি-র সামনে বলে যাচ্ছি। আমি মিথ্যা কথা বলার ছেলে নয়, আমি স্পষ্ট বক্তা। সোজাকে সোজা বলি, সাদাকে সাদা বলি, কালোকে কালো বলি। এই জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement