scorecardresearch
 

Mamata Banerjee at Red Road: 'বেছে বেছে মুসলিম নেতাদের ফোন করে বলছে, কী চাই?' ইদের নমাজে কেন্দ্রকে টার্গেট মমতার

অন্যান্য বারের মতো এবার ইদের সকালে রোডের নামাজে অংশ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই এনআইএ-ইডি-সিবিআই নিয়ে তোপ দাগার পাশাপাশি সৌভ্রাতৃত্বের কথা শোনা গেল মমতার গলায়। রেড রোডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, এটা খুশির ইদ। এটা শত্রুদের বিরুদ্ধে ইদ। এটা সাহসের ইদ। এটা জীবনে আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার ইদ।

Advertisement
 রেড রোডের মঞ্চে সৌভ্রাতৃত্বের সুর মমতার গলায় রেড রোডের মঞ্চে সৌভ্রাতৃত্বের সুর মমতার গলায়

অন্যান্য বারের মতো এবার ইদের  সকালে রোডের নামাজে অংশ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই  এনআইএ-ইডি-সিবিআই নিয়ে তোপ দাগার পাশাপাশি সৌভ্রাতৃত্বের কথা শোনা গেল মমতার গলায়।  রেড রোডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, এটা খুশির ইদ। এটা শত্রুদের বিরুদ্ধে ইদ। এটা সাহসের ইদ। এটা জীবনে আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার ইদ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সকলের আল্লাহের দোয়া পাওয়ার সৌভাগ্য হয় না। যাঁরা সৎ মানুষ, তাঁরা আল্লাহের দোয়া পান। যাঁরা সৎ মানুষ নন, তাঁরা আল্লাহের দোয়া পান না। ইদের নমাজের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। পাশাপাশি সিএএ-এনআরসি নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। মমতা বলেন, 'সবাইকে ইডি-সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করছে। তার থেকে ভাল একটা আলাদা জেল তৈরি করুন। বেছে বেছে মুসলিম নেতাদের ফোন করে বলছে, কী চাই? অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনছে, আমরা মানব না। সিএএ-এনআরসি করতে দেব না।' বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন তিনি। মমতা বলেন, 'ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেছি, এখন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মাছের মাথা হল সিএএ, আর লেজ হল এনআরসি। দিল্লিতে ভোটের পরে ইন্ডিয়া জোট কী হবে বুঝে নেব। কিন্তু বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে একটি ভোটও দেবেন না।'

এর পরেই মমতা বলেন, ‘আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। মৃত্য়ু আমাকে ভয় পায়। কেউ কেউ চায় ভোটে সবাইকে ভয় দেখাতে। সবাইকে এখন এনআইএ, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স, ইডির হাতে ধরাতে চায়। আমি বলি, এর থেকে তো ভাল একটা জেলখানা বানিয়ে দিন। সবাইকে ভরে দিন। কিন্তু দেশের ১৩০ কোটি মানুষ, সবাইকে আপনি জেলে ভরতে পারবেন? আমরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়ি।’ মমতা বলেন, ‘জুলুমবাজি, ভাঁওতাবাজি করে জনতার আশীর্বাদ পাওয়া যায় না। আমি দেশের জন্য রক্ত দিতে তৈরি, কিন্তু দেশের উপর অত্য়াচার সহ্য করব না। ভোটের সময় ওঁরা বেছে বেছে মুসলিম নেতাদের ফোন করে, আর জিজ্ঞেস করে কী দরকার।’

আরও পড়ুন

Advertisement

মমতা বলেন, প্রশ্ন করছে নাগরিক কীভাবে। আপনি নাগরিক কীভাবে।  জনতার ভোটেই তো আপনি প্রধানমন্ত্রী।  ফাইট আমাদের সঙ্গে বিজেপির। দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটে আমরা আছি। কিন্তু বাংলায় আমাদের লড়াই বিজেপির সঙ্গে, একটা ভোটও যেন অন্য দিকে না যায়। গান্ধীজির সঙ্গেও একজন মুসলিম ছিল, সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গেও, কেউ দাঙ্গা করতে এলে কুল-কুল থাকুন।  চকোলেট বোম ফাটলেও এনআই পাঠায়।  যতই বদমায়েশি হোক, যতই নোংরামি হোক, মনে রাখবেন, আপনাদের সততা বাংলাকে শান্তিতে রেখেছে। আপনাদের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। 

মমতার পর মঞ্চে উঠে অভিষোকও সৌভ্রাতৃত্বের সুরেই কথা বলেন। জলের যেমন কোনও ধর্ম হয় না, চাঁদেরও ধর্ম হয় না। ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে লড়াই করাচ্ছে এরা। পাশাপাশি লোকসভা ভোটে একটি ভোটও অন্য কোনও দলকে না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

Advertisement