scorecardresearch
 

Adhir Chowdury On CBI Raids In Sandeshkhali: 'পুলিশ কী করছিল?' সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে শাসকদলকে নিশানা অধীরের

সন্দেশখালিতে এনএসজি অভিযান নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গুন্ডাদের যোগাযোগ রয়েছে। আর তা ঢাকতেই পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান অধীর। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি বলেন, 'আমি তো এনএসজিকে ডাকিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে। এই ঘটনা সমস্ত বাঙালির কাছে লজ্জার। আমরা সবাই লজ্জিত। সন্দেশখালীতে আমাদের মা-বোনদের অপমান করা হয়েছে। তাদের শোষণ করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা।' 

Advertisement
অধীর চৌধুরী অধীর চৌধুরী

সন্দেশখালিতে এনএসজি অভিযান নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গুন্ডাদের যোগাযোগ রয়েছে। আর তা ঢাকতেই পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান অধীর। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি বলেন, 'আমি তো এনএসজিকে ডাকিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে। এই ঘটনা সমস্ত বাঙালির কাছে লজ্জার। আমরা সবাই লজ্জিত। সন্দেশখালীতে আমাদের মা-বোনদের অপমান করা হয়েছে। তাদের শোষণ করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা।' 

পাশাপাশি এনএসজি-র উদ্ধার করা অস্ত্র নিয়েও প্রশাসনের সমালোচনা করতে ছাড়েননি অধীর। তিনি বলেন, 'সেখানে এখন বিদেশী অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে এল এই হাতিয়ার? এই সমস্ত কিছু তো পুলিশের দেখার কথা। এখানে শাসক (পড়ুন তৃণমূল) দলের বড় বড় গুন্ডা, নেতারা রেখেছিল। পুলিশ কি করছিল? তাঁরা কিছুই জানতে পারেননি?' অধীরের আরও দাবি, 'পুলিশ সবটা জানত। এখন তা একের পর এক সাধারণ মানুষের সামনে আসছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে শাসক দলের গুন্ডাদের যোগসাজশ রয়েছে। পুলিশ কি তাহলে, গুন্ডাদের বাঁচাতে নেমেছে? গোটা ঘটনাটা পুলিশের চোখের সামনে ঘটছে।' 

সিবিআই যদি মনে করে, তারা এনএসজিকে ডাকতেই পারে। এমনটাই মনে করেন অধীর। তিনি বলেন, 'সিবিআই এনএসজিকে মনে হলে ডাকতেই পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। যদি মনে হয় অনেক বিস্ফোরক রয়ে গিয়েছে, তা জানতে পারলে এমনটা হবেই। এতে আমার কী করার আছে?'  

আরও পড়ুন

শুক্রবার মজুত থাকা বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে সন্দেশখালিতে অভিযানে নামে এনএসজি। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র বাড়িতে অভিযানে গিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় সিবিআই। ডাকা হয় এনএসজি-কে। ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক শনাক্তকারী রোবট নিয়ে পৌঁছন এনএসজি-ক কম্যান্ডোরা। কয়েক ঘণ্টা অভিযানের পর উদ্ধার হয় দেশি-বিদেশি বন্দুক ও গুলি, এমনটাই ছবি দিয়ে দাবি করে সিবিআই। ওই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর প্রশ্ন, সেগুলি ওখান থেকেই যে পাওয়া গিয়েছে তার কী প্রমাণ রয়েছে? তৃণমূল নেত্রী বলেন,'কেউ জানে না কী কী কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এটাও হতে পারে ওরাই গাড়িতে করে এনেছিল। সেটাই দেখিয়েছে। কোনও প্রমাণ নেই যে ওগুলো ওখানেই ছিল'। আর এ ব্যাপারেই এবার মুখ খুললেন অধীরও।

Advertisement

Advertisement