ইন্দ্রপতন! হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তিনি ৭ লক্ষ ৩ হাজার ১৩ ভোট পেয়েছেন। দিলীপ পেয়েছেন, ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৬ ভোট। ব্যবধান প্রায় ১৩৬৯৫৭ ভোট। গণনার প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা দিলীপ। বেলা যত বাড়তে থাকে, ভোটের ব্যবধানও বাড়তে থাকে। শেষমেষ বিকেল ৪টে নাগাদ সব জল্পনার অবসান হয়। নির্বাচন কমিশনের হিসেবে বোঝা যায় যে, শেষ হাসি হাসছেন তৃণমূল প্রার্থীই কীর্তিই।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার আগে থেকে বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলছিলেন, এই আসনে লড়াই এবার সেয়ানে সেয়ানে। কারণ এখানে তৃণমূল ও বিজেপির তুল্যমূল্য জনভিত্তি রয়েছে বলেই ধারণা। কিন্তু হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ। চওড়া ব্যাটে রান তুলে নিলেন কীর্তি আজাদ।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মেদিনীপুর আসন থেকেই ২০১৯ সালে জিতেছিলেন। নিজে জেতার সঙ্গে সঙ্গে আরও ১৭ আসনে জয় এসেছিল দিলীপের নেতৃত্বেই। এর পরে নিজের লোকসভা এলাকার মাটিকে আরও পোক্ত করার লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের আসনে টিকিট পান নি তিনি। মেদিনীপুর আসনে দিলীপকে না দাঁড় করানো নিয়ে অনেক চাপানউতর চলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে।
সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপিতে অনেক দিন ধরেই কোণঠাসা দিলীপ। ৩২ বছর আরএসএস প্রচারক থাকার পরে রাজনীতিতে এসে ঝড়ের গতিতে এগিয়েছেন দিলীপ। প্রথমে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, তার পরে দু’দফায় রাজ্য সভাপতি। এরই মধ্যে বিধায়ক এবং সাংসদ হয়েছেন। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে সব পদ গিয়ে দিলীপ শুধুই মেদিনীপুরের সাংসদ হয়ে যান। সেই সাংসদ পদের লড়াইতেও হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ।