মঙ্গলবার সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার নাকি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের খবর অবশ্যই রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় করে দেওয়ার মতো। শোনা যাচ্ছিল যে, বিজেপি নাকি প্রার্থী করতে চাইছিল রাজন্যাকে। আর সেই কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজেপি। তবে এই নিয়ে কী বলছেন খোদ রাজন্যা? bangla.aajtak.in-কে জানিয়ে দিলেন ছাত্রনেত্রী।
রাজন্যার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজন্যা বলেন, 'আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। আমার সঙ্গে বিজেপির মহিলা নেতৃত্বরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছি যে আমি বিজেপিতে যোগ দেব না।' তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন? হেসেই উত্তর দিলেন রাজন্যা। জানালেন তিনি এই বিষয়ে কিছুই এখনও জানেন না। প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব পেলে কি রাজি হবেন? রাজন্যা বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ দলের ব্যাপার। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমি পালন করব।'
শোনা গিয়েছিল যে রাজন্যার পাশাপাশি তাঁর হবু বর প্রান্তিক চক্রবর্তীর কাছেও বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল। বিজেপি যে তাঁদের দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিল সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা। সূত্র মারফৎ খবর, রাজন্যা হালদারের সঙ্গে একাধিকবার বিজেপির তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মুখ রাজন্যাকে বিজেপি লোকসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভোটে প্রার্থী করতে চায় বলেই খবর। এমনকী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকেরও প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে খবর। কিন্তু রাজন্যা ও প্রান্তিক দুজনের কেউই এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, গত বছর তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই নজর কেড়েছিলেন রাজন্যা। তাঁর একের পর এক স্লোগান ওখানে উপস্থিত নেতৃত্বদের উদ্বুদ্ধ করে। এক নতুন মুখ খুঁজে পায় তৃণমূল। ধীরে ধীরে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনে আলাদা জায়গা করে নেন রাজন্যা। শুধু তাই নয়, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজন্যাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের মুখ করা হয় তাঁকে। এরপর বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচিতে রাজন্যার উপস্থিতি নজর কেড়েছে। এরকমই এক তরুণ তুর্কিকে বিজেপি তাদের মুখ করতে চাইছে বলেই খবর। যদিও বিজেপির তরফে এখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।