লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। প্রার্থীরা যে যাঁর কেন্দ্রে জোর কদমে জনসংযোগ চালাচ্ছেন। এ বছর যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষ। আর প্রার্থীকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে অভিনব কায়দায় প্রচার চালাতে। শনিবার সোনারপুরে প্রচারে গিয়ে এক নিঃশ্বাসে হনুমান চল্লিসা পাঠ করলেন সায়নী।
শনিবার সন্ধ্যায় সায়নী সোনারপুরের উত্তরে প্রচার করতে আসেন। আর সেখানে এসে হনুমান মন্দিরে গিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করেন। সায়নী জানান যে তিনি হনুমান চালিশা পাঠ করছেন কোনও ভুল-ত্রুটি হলে যেন তাঁকে বলা হয়। এরপরই সায়নী হনুমান চালিশা পাঠ করতে শুরু করেন এবং নির্ভুলভাবে সেটা গড়গড় করে বলে যান তিনি। সায়নীর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় নেটিজেনরা। অনেকে আবার জয় বজরংবলী বলেও কমেন্ট করেন। প্রসঙ্গত, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ শুক্রবার বিকেলে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জনসভা করেন। এই জনসভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপি এবং বামেদের তুলোধোনা করেন তিনি। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনসভা শেষ করে একটি হনুমান মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। সেখানে পাঠ করেন হনুমান চালিশা।
লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শাসক বিরোধী সমস্ত দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে রাজনৈতিক প্রচার মাধ্যমে ময়দানে নেমে পড়েছে। আগামী ১ জুন এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তাই প্রার্থীরা ভোট প্রচারে অনেকটা সময় পাবে। কিন্তু সে সময় তারা ফেলে রাখতে চাই না। যাদবপুর কেন্দ্রের প্রতিটি কোণায় কোণায় গিয়ে জনসংযোগ সারছেন সায়নী। কখনও পেয়ারা খেতে খেতে আবার কখনও সাইকেল চালিয়ে সায়নীকে দেখা গিয়েছে জনসংযোগ সারতে। মূলত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দেয়। আর সেটাকেই হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। আর এই প্রচারে বেরিয়ে কেউ কাকে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তে নারাজ। শুক্রবার শুধু হনুমান চালিশা পাঠ করেননি, প্রচারে বেরিয়ে তিনি আরও কিছু করেছেন।
শুক্রবার প্রচারে বেরিয়ে একেবারে অন্যমুডে দেখা গেল সায়নী ঘোষকে। ঘুরলেন মেলায়, খেলেন ঘুগনি। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মেলায় ঢুকে তিন তিনবার ট্রিগার টিপে লক্ষ্যভেদ করলেন তিনি। শুধু তাই নয় ড্রাগন ট্রেনে চেপে, ঘুগনি খেয়ে উপভোগ করলেন মেলার আনন্দ। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমকে পাশে বসিয়ে ট্রেনে চেপে চক্কর দিলেন তিনি। তার হাতে তখন ঘুগনির প্লেট। সায়নীর বক্তব্য, তাঁরা সাধারণ। এই ভাবেই আনন্দ করে বাঁচতে ভালোবাসেন।