Murshidabad: হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ, ওদিকে গোকূলে বেড়েছে BJP-ও, মমতার মুর্শিদাবাদ স্ট্র্যাটেজি কী?

একদিকে, বাবরি মসজিদের শিলান্যাস ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। মসজিদ গড়তে উদ্যোগী বিক্ষুব্ধ সেই হুমায়ুন কবীরকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতার সভাতে। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই মুর্শিদাবাদেই বৃহস্পতিবার সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ, ওদিকে গোকূলে বেড়েছে BJP-ও, মমতার মুর্শিদাবাদ স্ট্র্যাটেজি কী?মুর্শিদাবাদের সমীকরণ
হাইলাইটস
  • বাবরি মসজিদ গড়তে উদ্যোগী হুমায়ুন কবীর
  • তৃণমূলের মাথাব্যথা AIMIM-ও
  • মুর্শিদাবাদে কোন স্ট্র্যাটেজি নেবেন মমতা?

মতুয়া বলয় এবং মালদার পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই জেলা মূলত মুসলিম অধ্যুষিত। SIR আবহে তাই মমতার জনসভা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিধায়ক হুময়ুন কবীরকে। যিনি আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। 

হুমায়ুন কবীর ও বাবরি মসজিদ
ভোটের বাদ্যি বাজার আগেই মুর্শিদাবাদের রাজনীতি উত্তপ্ত। ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন তৃণমূলের এই বিধায়ক, থুড় বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক। দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। বিধায়কের এই উদ্যোগ নিয়ে BJP যখন তীব্র সমালোচনা করছে, তৃণমূল তখন নিশ্চুপ। দলের কোনও প্রতিনিধি তাঁর এই শিলান্যাস উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও দূরত্ব মেটাতে তাঁকে বরং আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতার বিষ্যুদবারের সভাতে। 

রাজনৈতিক সমীকরণ
মুর্শিদাবাদ একটা সময় ছিল কংগ্রেসের গড়। তবে তারাই এখন সেখানে কোণঠাসা। বহরমপুর বলতেই যেখানে একজনের নাম মাথায় আসত সেই অধীর চৌধুরী ২০২৪ সালের লোকসভায় হেরেছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে। উল্টে এই জেলায় শক্তি বৃদ্ধির খেলায় জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে BJP। তবে শুধু BJP-ই নয়, এই দুই জেলায় শাসকদলের মাথাব্যথার আরও এক কারণ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM। ভোট কাটাকুটির খেলায় এই দল অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারে। 

বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও বেশ ভোগাচ্ছে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার নিশানা করে চলেছেন তাঁর নিজের দলকেই। 

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র দু'টিতে জয়ী হন BJP প্রার্থীরা। ২০২৩ সালে সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন বাম-কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। তবে তিনি পাল্টি খেয়ে যোগ দেন তৃণমূলে। আবার ২০২৪-এ অধীর জমানার অবসান ঘটিয়ে ফেলেন তৃণমূলের ইউসুফ। 

Advertisement

BJP-র হুঁশিয়ারি
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের লড়াইয়ে দেখা যাবে না তৃণমূলকে। সেখানে BJP-র সঙ্গে লড়াই হবে কংগ্রেস, বাম ও ISF-এর। মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে শুভেন্দু বলেন, 'এই দলের ২২টি আসনেই তৃণমূলকে হারাব। আমি বলে দিলাম। এখানে লড়াই হবে BJP-র সঙ্গে কংগ্রেস, CPIM ও ISF-এর। একটি আসনেও তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। সুতির মাটিতে বলে যাচ্ছি, ২০২৬ সালে শূন্য হাতে তৃণমূলকে ফিরতে হবে।'


   

POST A COMMENT
Advertisement