সরকারি পদে নিযুক্ত আরএসএস কর্মীদের সরিয়ে দেবে সিপিআইএম। ইশতেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ইশতেহার প্রকাশ করেছে সিপিআইএম। বিভিন্ন অভিনব প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেখানে। ছোট ছোট পয়েন্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি। সেখানে 'ভাঙো অচলায়তন' বিভাগে রয়েছে ওই প্রতিশ্রুতি। তিনটি পয়েন্ট রয়েছে প্রথমেই রয়েছে আরএসএস-এর কর্মীদের সরানোর বিষয়। দ্বিতীয়তে রয়েছে বিভিন্ন সেনার মতো গোষ্ঠীগুলিকে সরানোর কথা রয়েছে। শেষে রয়েছে, রাজ্যপাল পদের অপসারণের কথা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং ইউএপিএ-র মতো কঠোর আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি মিলেছে সিপিএমের নির্বাচনী ইশতেহারে। একইসঙ্গে সরকারি অর্থ তছরুপ দমন আইনও বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক এই বাম দলটি। শহুরে কর্মসংস্থান এবং বেকার ভাতা চালুর জন্য আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিআইএম।
পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহারে ৩৭০ ধারার অধীনে জম্মু-কাশ্মীরকে স্বশাসিত করার বিষয়কে সমর্থন জানিয়েছে সিপিআইএম। পূর্ণ রাজ্যে মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ক্ষমতায় এলে বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচন এবং শিল্পপতি-বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর চাঁদা নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইশতেহারে।
ক্ষমতায় এলে রাজ্যপাল নিয়োগের পদ্ধতিতেও বদল আনা হবে। ইশতেহারে দল দেশের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে না পারলে একাজ সম্ভব নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ রুখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিআইএম।
কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, শিক্ষার অধিকার, উচ্চশিক্ষায় বেসরকারিকরণ বন্ধ, জাতীয় গড় উৎপাদনের অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে সিপিএম। এছাড়াও অবিলম্বে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ এবং নির্যাতিত মহিলাদের ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দলটি।