West Bengal Election 2021 : BJP-র কমিউনিটি কিচেন বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, হালিশহরে অভিযুক্ত TMC

কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen)-এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন হালিশহর (Halisahar)-এর তৎকালীন তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত দাস। তখন বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শুভ্রাংশু রায়। কিন্তু শুভ্রাংশু দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরই দল পাল্টান সুদীপ্ত।

Advertisement
West Bengal Election 2021 : BJP-র কমিউনিটি কিচেন বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, হালিশহরে অভিযুক্ত TMCক্ষতিগ্রস্থ ওই কমিউনিটি কিচেন। শনিবার হালিশহরে। ছবি: দীপক দেবনাথ
হাইলাইটস
  • দুঃস্থ মানুষকে প্রতিদিন মাছ ভাত খাওয়ানোর জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালিশহর স্টেশন সংলগ্ন চৌমাথা বাজারে তৈরি হয়েছিল রামধনু হেঁশেল
  • তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগেই এখানে প্রতিদিন শ'খানেক মানুষকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, পরে উদ্যোক্তা যোগ দেন বিজেপিতে
  • কিন্তু শনিবার হঠাৎ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রামধনু হেঁশেল

বছর ৪ আগেকর কথা। দুঃস্থ মানুষকে প্রতিদিন মাছ-ভাত খাওয়ানোর জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হালিশহর (Halisahar) স্টেশন সংলগ্ন চৌমাথা বাজারে তৈরি হয়েছিল কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen) 'রামধনু হেঁশেল'। তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগেই এখানে প্রতিদিন শ'খানেক মানুষকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen)-এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন হালিশহর (Halisahar)-এর তৎকালীন তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত দাস। তখন বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শুভ্রাংশু রায়। কিন্তু শুভ্রাংশু দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরই দল পাল্টান সুদীপ্ত।

শুভ্রাংশু দেখানো পথেই গেরুয়া শিবিরের নাম লেখায় সে। যদিও রামধনু হেঁশেল চলছিল। কিন্তু শনিবার হঠাৎ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রামধনু হেঁশেল।

হালিশহর (Halisahar) পুরসভার পক্ষ থেকে এদিন এটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এর পরই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।

বিজেপি কর্মীদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এটি ভেঙে দেওয়া হল, যাতে এই কমিউনিটি কিচেনে মানুষ খেতে না পারে।

 
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তারা এটি চালাতে পারছিল না। এখানে দুষ্কৃতীদের আড্ডা হচ্ছিল। তাই তারা সেটি ভেঙে দিয়ে বড় করে হেঁশেল বানাতে চায়। 

বিজেপি নেতা রাজা দত্ত জানান, সুদীপ্তর নেতৃত্বে চলা রামধনু হেঁশেলে এ এলাকার বহু দুস্থ মানুষ খাওয়া-দাওয়া করত। কিন্তু দুষ্কৃতীদের খাওয়ানো হতো বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয়।

তিনি আরও জানান, কয়েকদিন বাদেই নির্বাচন ওখানে আবার রামধনু হবে দুঃস্থ মানুষদের পরিষেবা দেওয়া হবে। তৃণমূল সেখানে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজা। 

তৃণমূল নেতা নানু দাস জানান, আগে থেকে এখন লোক বেড়ে যাচ্ছে, প্রতিদিন ২০০-২৫০ লোক খাচ্ছে। কিন্তু এখানে স্থান সংকুলানের কারণে এটিকে ভেঙে বৃহৎ আকারে করা হচ্ছে। দুঃস্থরা আগেও যেরকম খেতেন, এখনও ঠিক সেভাবেই খাবেন।

তিনি আরও জানান, বিনামূল্যে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া হবে। এর জন্য পাশেই একটি অস্থায়ী জায়গা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বিজেপি সারা জীবন লোকের দোষই দেখে গেল। নিজের দোষটা তারা কোনদিনও দেখতে পারে না। এখানে কোন রাজনীতির রং নেই।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement