ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সিএনবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন যে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আরবিআই তার ডিজিটাল মুদ্রার জন্য একটি ট্রায়াল প্রোগ্রাম চালু করতে পারে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি এই দিকে কাজ করছে। চীন, ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি বাণিজ্যিক এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে আছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক জারি করা যে কোনও ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয়েছে CBDC (সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি)।
তবে ইতিমধ্যেই BrokerChooser-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডিংয়ে বিশ্বের শীর্ষে ভারত! অর্থাৎ, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকের সংখ্যার বিচারে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে ভারত! BrokerChooser-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের প্রায় ১০ কোটি মানুষের কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে।
BrokerChooser-এর ওই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডিংয়ের বিচারে এই তালিকায় ভারতের পরেই রয়েছে আমেরিকা আর তার পরে রয়েছে রাশিয়া।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রেও ভারত অনেক এগিয়ে। ক্রিপ্টো সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। গত ১২ মাসে, ভারতে এই বিষয়ে ইন্টারনেটে মোট ৩৬ লক্ষ বার অনুসন্ধান করা হয়েছিল। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকার নাম। গত ১২ মাসে ইন্টারনেটে মোট ৬৯ লক্ষ বার এই বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছিল। এমনই অনেক তথ্য উল্লেখিত হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
কিন্তু অনুসন্ধান করে দেখা যায়, BrokerChooser-এর ওই প্রতিবেদনটি দুটি পৃথক সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। স্টাটিস্টা রিপোর্ট ও হুটসুইট রিপোর্ট (Statista Report, Hootsuite Report)— এই দুই সমীক্ষার তথ্য মিলিয়ে BrokerChooser-এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে ওই দুই সমীক্ষার সময়কাল এক ছিল না। ওই দুই সমীক্ষার ফলাফলও পৃথক পৃথক।
স্টাটিস্টা রিপোর্ট ও হুটসুইট রিপোর্ট (Statista Report, Hootsuite Report) অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ থেকে ৮.৮ শতাংশের কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি (২০২০)। অর্থাৎ, সেই হিসাবে সাড়ে ৭ কোটি থেকে সোয়া ৮ কোটি ভারতীয়র কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে, ১০ কোটির কাছে নয়।