ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি? না, ভিডিওটি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজের অনুশীলনের

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি অন্তত দেড় বছর আগেকার। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক সংঘাতের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি? না, ভিডিওটি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুজকাওয়াজের অনুশীলনের

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত? সম্প্রতি এমনই দাবিতে মিসাইল-সজ্জিত দুটি সামরিক যানকে একটি রাজপথের উপর দিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটি শেয়ার করে তার উপর লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্তে ভারত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, জয় হিন্দ। ভারত মাতা কি জয়।

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি অন্তত দেড় বছর আগেকার। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক সংঘাতের কোনও সম্পর্ক নেই।

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে কিফ্রেম সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেস সার্চ করা হলে দেখা যায় ওই একই ভিডিও @Defence_Creation নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়েছিল। এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি।

এর থেকেই একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে এই ভিডিওর সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাতের কোনও সংযোগ নেই। কারণ সেই সময় দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদেও তখন শেখ হাসিনা ছিলেন।

এই ভিডিওটি আপলোড করে #26januaryparade-এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল। যা থেকে অনুমান করা যায় যে ভিডিওটি ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। তবে যেহেতু ভিডিওটি ২৫ জানুয়ারি, অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের একদিন আগেই আপলোড করা হয়েছিল, তাই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় এটি ২৬ জানুয়ারির আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের নয়।

উক্ত চ্যানেলে আপলোড হওয়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেল ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুশীলন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং ওই ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে সেই অনুশীলনের বিভিন্ন শর্টস্ সময়ে-সময়ে আপলোড করা হয়েছিল।

Advertisement

ভাইরাল অংশে ভারতীয় সেনার আকাশ আর্মি লঞ্চারের দুটি যান দেখা যাচ্ছে। একই ভাবে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি ওই চ্যানেলে আপলোড হওয়া কুচকাওয়াজের অনুশীলনের পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে ঠিক ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের মাথায় ওই একই লঞ্চারগুলিকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে।

যদিও এই ভিডিওতে ওই দুটি লঞ্চারের এগিয়ে আসার পরের দৃশ্য বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা পরবর্তীতে ওই চ্যানেলে পৃথকভাবে আপলোড করা হয় ২০২৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি।

আবার এই দুটি লঞ্চার পাশাপাশি যে অবস্থানে রয়েছে, ঠিক একই অবস্থানে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজেও অংশ নিয়েছিল। সেই ভিডিওটি রাষ্ট্রপতির সরকারি ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচারিত অংশে ঠিক ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের পরবর্তী অংশে দেখা যাবে।

সবমিলিয়ে একটা বিষয় কার্যত পরিষ্কার হয়ে যায় যে প্রজাতন্ত্র দিবসে অনুশীলনের একটি ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ প্রস্তুতি।

ফলাফল

আলোচ্য ভিডিওটি ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ইউটিউবে রয়েছে এবং এটি নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুশীলনের দৃশ্য।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement