সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে একই পরিবারের তিন বোন নাকি আইএএস হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
হিন্দিতে ক্যাপশন দিয়ে এই ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "তিনজন দলিত বোন একসঙ্গে আইএএস হয়েছে। দিন রাতে ক্ষেতে কাজ করা বৃদ্ধা মায়ের মেয়েরা হল কমলা জাট, গীতা জাট ও মমতা জাট।" সেই সঙ্গে ওই তিন বোনের রাঙ্কিংও উল্লেখ করা হয়েছে ভাইরাল সেই পোস্টে।
পোস্টের আর্কাইভ এখানে ও এখানে দেখা যাবে।
ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) তদন্তে উঠে এসেছে যে ভাইরাল দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ছবিতে থাকা মেয়েগুলি আইএএস পরীক্ষায় নয়, বরং রাজস্থানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।
আফয়া তদন্ত
ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে সবার প্রথম আমরা গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। তখন সেই একই ছবি দেখা যায় "দ্য লাল্লান্টপ" নামক ওয়েবসাইটে।
২০১৭ সালে প্রকাশ পাওয়া সেই প্রতিবেদনেও এই একই ছবি দেখা গিয়েছিল। যার দ্বারা এটা স্পষ্ট হয় যে ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। সেই সঙ্গে ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয় যে, রাজস্থানের জয়পুর জেলার একটি গ্রামে একই পরিবারের তিন মেয়ে রাজ্যের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মীরা দেবীর স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ না করে তিনি তাদের উৎসাহিত করেছিলেন। এরপর রাজস্থানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ওবিসি ক্যাটাগরিতে বড় মেয়ে কমলা ৩২তম, গীতা ৬৪তম, ও মমতা ১২৮তম স্থান দখল করে।
এই খবরটিকে সূত্র ধরে যখন আমরা কীওয়ার্ড সার্চ করি তখন ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর প্রকাশ হওয়া "দৈনিক জাগরণের" একটি রিপোর্ট পাওয়া যায়। সেখানেও এই একই তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে উভয় প্রতিবেদনেই ওই বোনদের পদবী চৌধুরী বলে লেখা হয়, জাট নয়।
সুতরাং, ভাইরাল দাবিটি যে বিভ্রান্তিকর এবং ভুল ভাবে পরিবেশিত হয়েছে, সেটা বলাই যায়।
রাজস্থানে একটি দলিত পরিবারের ৩ বোন একসঙ্গে আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিটি ২০১৭ সালের যখন রাজস্থানে একটি পরিবারের তিন বোন একসঙ্গে রাজস্থান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল।