ফ্য়াক্ট চেক: ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে ৭৬ বছরের বৃদ্ধের! না, ভাইরাল ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড, অর্থাৎ নাট্যরূপান্তর মাত্র। আসলে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

Advertisement
ফ্য়াক্ট চেক: ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে ৭৬ বছরের বৃদ্ধের! না, ভাইরাল ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড

সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে যে, এক ৭৬ বছরের বৃদ্ধ ব্যক্তি নাকি এক ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। 

ভিডিওটি এক বৃদ্ধ ও আরেক নাবালিকাকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করা ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে ওই বৃদ্ধ যা বলছেন তার নির্যাস হল-বুড়ো বয়সে তাঁর সন্তানেরা দেখভাল করে না, আগের স্ত্রীও গত হয়েছেন। যে কারণে ওই  অনাথ নাবালিকাকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেছেন তিনি। ভিডিও-র ভাষ্য অনুযায়ী, বৃদ্ধের বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে। কিন্তু এই কাজের জন্য গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হওয়ায় তিনি বাডড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। 

ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ যদি আঙুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারেন, তাহলে ৭৬ বছরের এই মুমিন ১২ বছরের মেয়েকে ইসলামের আলোকে বিয়ে করতে পারবে না কেন?"

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড, অর্থাৎ নাট্যরূপান্তর মাত্র। আসলে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

কীভাবে জানা গেল সত্য়ি

ভাইরাল ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ওই একই ভিডিও আমরা দেখতে পাই Dulal নামক একটি ফেসবুক পেজে। গত ১৮ অক্টোবর "১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ৭৬ বছরের বৃদ্ধ" ক্যাপশন দিয়ে ওই ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

তবে মজার ব্যপার হলো, ওই পেজে একাধিক এমন ভিডিও রয়েছে যেখানে কোথাও দাবি করা হচ্ছে ১০০ বছরে এক বৃদ্ধ এক বৃদ্ধ নাকি ১৯ বছরের তরুণীকে বিয়ে করেছেন, কোথাও আবার লেখা হচ্ছে তিন ভাই একই মেয়েকে একসঙ্গে বিয়ে করেছেন। আর প্রত্যেকটি ভিডিও রেকর্ড করা ও প্রশ্ন করার ধরন একই রকমের। যা দেখে মনে হয় ঘটনাগুলি সাজানো। ভিডিওগুলি এখানে, এখানে, এখানে এখানে দেখা যাবে।  

Advertisement

ভিডিওগুলি যে সম্ভবত স্ক্রিপ্টেড, তার আন্দাজ পাওয়া যায় Dulal নামক ওই পেজের ইন্ট্রো থেকে। যেখানে লেখা ছিল, "Welcome to official fan page of Dulal We love to entertain peoples." অর্থাৎ, এই ভিডিওগুলি সম্ভবত মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। 

যে ব্যক্তি এই পেজ পরিচালনা করেন, তাঁর একটি লাইভ ভিডিও আমরা দেখতে পাই যা গত ১৩ নভেম্বর তিনি সম্প্রতার করেছিলেন। সেখানে ওই ব্যক্তিকে একাধিকবার বলতে শোনা যায় যে তাঁদের তৈরি কন্টেন্ট দর্শকদের কেমন লাগছে তা জানাতে। অনেক কষ্ট করে কন্টেন্ট তৈরি করা হয় সকলের মনোরঞ্জনের জন্য়, তাই যেন সকলে জানান কন্টেন্ট কেমন লাগছে, এ কথাও বারবার বলেন ওই ব্যক্তি। 

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে তৈরি একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিওকে আসল ঘটনা বলে দাবি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক ৭৬ বছরের বৃদ্ধ এক ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করছে। 

ফলাফল

এই ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড। আসলে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement