scorecardresearch
 

বিহারের এক এসডিপিও কে নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি সোশ্যাল মিডিয়াতে

দাবি, মহিলা এসডিপিও তাঁর বেকার স্বামীকে আইপিএস হতে অনুপ্রাণিত করেছেন

Advertisement
Bihar police Bihar police

একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে কেন্দ্র করে এবার একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হল।

বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি সংবাদের স্ক্রিনশট পোস্ট করে এই মহিলা পুলিশ অফিসারের প্রশংসা করে চলছেন। এই সংবাদটির স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে, "বেকার ছেলেকে বিয়ে করে তাঁকেই আইপিএস অফিসার বানালেন ডিএসপি ম্যাডাম।"

এই একই দাবি সংক্রান্ত আরও পোস্টের আর্কাইভ দেখতে পাবেন এখানে, এখানে, এখানে এখানে

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।

তদন্তে নেমে আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে মূল ঘটনাটি খুঁজে পেয়েছি।  ছবিতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাম রেশু কৃষ্ণান। তিনি বিহার পুলিশ সার্ভিস কমিশন অফিসার। বর্তমানে, ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁওয়ের এসডিপিও। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আইপিএস-এর পোশাকে তাঁর স্বামীকে দেখা যাচ্ছে।  

 কিছুদিন আগে এই ছবিটি কৃষ্ণান তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করলে তা নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, কৃষ্ণানের স্বামী আইপিএস নন। এমনকি, তিনি পুলিশ বা নিদেনপক্ষে কোনও সরকারি কর্মচারীও নন। তাই সোশ্যাল মাধ্যমে এই ছবিটি পোস্ট করার পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

Bihar police

এর পরে কৃষ্ণান তাঁর প্রোফাইল থেকে ছবিটি সরিয়ে নিলেও তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি। খবরের প্রকাশ, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নজরে আসলে পিএমও -র তরফ থেকে বিহার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে আমরা এরপর আজতকের ভাগলপুর জেলার প্রতিনিধি রাজীব সিদ্ধার্থের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, "ঘটনার পর ডিজি পুলিশের নির্দেশে ভাগলপুর শহরের এসপি স্বর্ণ প্রভাত একটি তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্তের রিপোর্ট এখনও অবধি সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানানো হয়নি। আমরা কৃষ্ণানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন তাঁর স্বামী যাত্রায় অভিনয় করেন।"

Advertisement

এর পরে, আমরা যে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামের স্ক্রিনশটটি ফেসবুক পোস্টে ব্যবহৃত হয়েছে সেই মূল প্রকাশিত সংবাদটি খুঁজে বের করি ইন্টারনেটে। দেখা যাচ্ছে, প্রকাশিত সংবাদের শিরনামটি মজার ছলে এইভাবে লেখা থাকলেও, মূল সংবাদে কিন্তু সঠিক তথ্যই দেওয়া হয়েছে। 

সুতরাং, এই পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য।

ফ্যাক্ট চেক

Several social media users

দাবি

এক মহিলা পুলিশ অফিসারের প্রশংসা করে দাবি করা হয়েছে, "বেকার ছেলেকে বিয়ে করে তাঁকেই আইপিএস অফিসার বানালেন ডিএসপি ম্যাডাম।"

ফলাফল

পোস্টের ছবিতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাম রেশু কৃষ্ণান। তিনি বর্তমানে বিহারের ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁওয়ের এসডিপিও। সম্প্রতি তিনি আরে তাঁর স্বামী দুজনেই আইপিএস পোশাক পরে পুলিশ জিপে বসে একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। কারণ, তাঁর স্বামী পুলিশে চাকরি না করেও আইপিএস পোশাক পরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশে বিহার পুলিশ কৃষ্ণানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Several social media users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement